আপডেট

x

চোখ মেলতে শুরু করেছে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়া যাওয়া সেই শিশু, মেলেনি পরিচয়

সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ৭:৩৪ অপরাহ্ণ |

চোখ মেলতে শুরু করেছে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়া যাওয়া সেই শিশু, মেলেনি পরিচয়
Spread the love

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে অজ্ঞাত (১১) বছরের এক শিশু গুরুতর আহত হয়ে গত ২৫দিন যাবত অচেতন ছিল। শিশুটি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে অচেতন হয়ে যায়। প্রথম দিকে তার বেঁচে থাকা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন চিকিৎসকরা। গত কিছুদিন যাবত চোখ মেলতে শুরু করেছে সেই শিশুটি। কিন্তু তার মুখ দিয়ে এখনো কথা ফুটেনি।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জানুয়ারি রোববার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা-চট্রগ্রাম-সিলেট রেলপথের আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বৈকন্ঠপুর এলাকার রেললাইনের পাশ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটিকে উদ্ধারের পর থেকেই ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। উদ্ধারের পর প্রায় ২০দিন তার কোন জ্ঞান ছিল না। গত কিছুদিন যাবত চোখ মেলতে শুরু করেছে। হাত-পা নড়েচড়া করেছে শিশুটি।

webnewsdesign.com

উদ্ধারের পর থেকে শিশুটির পরিবারের কোন সন্ধান পায়নি পুলিশ। ফলে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। হাসপাতালে আনার পর থেকে শিশুটির সেবাযত্ন করছেন ক্লিনার উজ্জ্বল মিয়া। শিশুটি খাবার খেতে না পারায় তাকে বিভিন্ন ফলের রস সিরিঞ্জ দিয়ে খাওয়ায় উজ্জ্বল। মলমূত্র পরিস্কার, শরীর মুছিয়ে দিয়ে তৈল দিয়ে দেন।

ক্লিনার উজ্জ্বল মিয়া বলেন, খিচুড়ি, সুজী ও ফলের রস সহ বিভিন্ন লিকুইড খাবার শিশুটি খেতে পারে। ডাক্তার ও নার্সরা টাকা দিলে এনে রুটিন করে এসব খাবার শিশুটিকে খাওয়াই। সে কার সন্তান তা আমি জানি না। তবে তার প্রতি আমার ভালবাসা তৈরি হয়েছে। আমি এরমাঝে লাভ ক্ষতি খুঁজি না।

অজ্ঞাত শিশুটি হাসপাতালের সার্জারী চিকিৎসক নিজাম উদ্দিনের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ডা. নিজাম উদ্দিন জানান, শিশুটির শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। তার মুখের ভেতরে ও একমাস যাবত বিছানায় শুয়ে থাকায় শরীরের পেছনের অংশে ঘা হয়েছে। আমরা যথা সম্ভব চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি।

হাসপাতালের তত্বাবধায়ক শওকত হোসেন বলেন, আমরা প্রথম দিকে শিশুটিকে নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম। তবে চিকিৎসকদের চেষ্টা শিশুটির শারীরিক অবস্থা উন্নতি হয়েছে। হাসপাতাল থেকে তার ঔষধ সহ যাবতীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে।

এদিকে শিশুটিকে উদ্ধারের পর পরিচয় ও পরিবারকে সনাক্ত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানায় পুলিশ। এবিষয়ে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ জানান, আমরা শিশুটির পরিবারকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। কেউ খোঁজও নেয়নি তার। শিশুটি যেহেতু কথা বলতে পারে না, তাই খুঁজে বের করা একটু কঠিন হয়ে গেছে। তারপরও আমরা যথা সম্ভব চেষ্টা করছি।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com