ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ এনে আদালতে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থানার এসআই মতিউর রহমানকে থানা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তাকে আখাউড়া থানা থেকে সরিয়ে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইনে আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘কাউকে ক্লোজড করা হয়নি। এস.আই মতিউরকে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বেলা আড়াইটা নাগাদ আদালতের কোনো কাগজপত্র পাইনি। যে কারণে কোন পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সেটা অফিসিয়ালি বলার সুযোগ নেই। এছাড়া যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের মধ্যে তিনজন অন্যত্র বদলি হয়ে গেছেন। একজন (হুমায়ুন) অসুস্থতার কারণে ছুটিতে আছেন। এ অবস্থায় কাগজপত্র না দেখে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।’
বুধবার আখাউড়া পৌর এলাকার মসজিদ পাড়ার হারুণ মিয়া নামে এক ব্যক্তি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আখাউড়া) আদালতে ওই পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত ইন্সপেক্টরের নীচে নয় এক কাউকে দিয়ে তদন্ত করিয়ে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে একই বিষয়ে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দেয়া হলে এর তদন্ত চলছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আখাউড়ার পৌর এলাকার মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা হারুনের প্রতিবেশী হাসিনা বেগম (চিকুনি বেগম) ও তার মেয়ে তানিয়া এবং তানজিনার সঙ্গে যোগসাজশে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা মাদক ব্যবসা করে আসছে। হারুন মিয়া এতে বাঁধা দিলে চিকুনী ক্ষুদ্ধ হয়ে পুলিশ সদস্যদের পিছনে লাগিয়ে দেয়। গত ২৬ মে গভীর রাতে অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য (এসআই মতিউর রহমান, হুমায়ুন কবির, এসএসআই মো. খোরশেদ, কনস্টেবল প্রশান্ত, সৈকত ) নাটকীয়ভাবে চিকুনী বেগমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তার প্ররোচনায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওই পুলিশ সদস্যরা হারুনের বাড়িতে প্রবেশ করে তল্লাশি নামে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এ সময় ক্রসফায়ার ও হত্যার ভয় দেখিয়ে ঘরে থাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এছাড়াও তারা ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে ফেলে। পরবর্তীতে ওই দিনের ভোর চারটার দিকে পুনরায় ওই পুলিশ সদস্যারা এসে হারুন ও তার স্ত্রীকে মিথ্যা মাদক মামলা ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডের ভয় দেখিয়ে তাদেরকে আটক করে এক লাখ টাকা দাবি করে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে রফা দফা হলে হারুন ও তার স্ত্রী ছাড়া পান। বিষয়টি উপরের অফিসারদের জানালে হারুনকে ক্রসফায়ার দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন