আপডেট

x

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে আখাউড়া থানা পুলিশ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

সোমবার, ০১ জুন ২০২০ | ৫:৫০ অপরাহ্ণ |

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে আখাউড়া থানা পুলিশ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
Spread the love

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানা পুলিশের চার সদস্যের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে ক্রসফায়ার ও মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কয়েক দফায় ওই টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

এ ঘটনায় গত ৩০ মে জেলার পুলিশ সুপারের কাছে ওই চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী মো. হারুন মিয়া।

webnewsdesign.com

অভিযুক্তরা হলেন, আখাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান, হুমায়ূন কবির, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসএসআই) খোরশেদ ও সোহাগ।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া পৌর এলাকার মসজিদপাড়ার (উত্তর) বাসিন্দা মো. হারুন মিয়া দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। এখান আবারও প্রবাসে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। হারুনের প্রতিবেশি কালাম মিয়ার স্ত্রী চিকুনী বেগম তার মেয়েদের নিয়ে মাদক ব্যবসা করেন। মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় হারুন ও তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেন চিকুনী। গত ২৫ মে দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এসআই মতিউর ও এসআই হুমায়ূন এবং সাদা পোশে আরেক পুলিশ সদস্য সোহাগ আরও দুইজন পুলিশ সদস্যকে নিয়ে নাটকীয়ভাবে চিকুনীকে আটক করেন। পরবর্তীতে চিকুনী ও তার মেয়েদের কথায় পুলিশ সদস্যরা হারুনের বাড়িতে তল্লাশি চালায়।

অভিযোগে বলা হয়, তল্লাশির নামে হারুনকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানি করেন পুলিশ সদস্যরা। এছাড়া ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র উলট-পালট করে নাজেহাল অবস্থা তৈরি করে। এ সময় হারুন তার প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা হারুনের ঘরে মাদক না পেয়ে ঘরে থাকা তার মা আয়েশা বেগমের পেনশনের আট হাজার এবং ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আনা ৩০ হাজার টাকা নিয়ে নেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এরপর হারুনকে মারধর করে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ঘটনাদিন ভোর চারটার দিকে আবারও অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হারুনের বাড়িতে এসে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করেন। এ সময় ঘটনাটি ৫০ হাজার টাকায় রফাদফা হয় এবং ওইদিন বেলা ১১টার মধ্যে টাকা পরিশোধ করার শর্ত দিয়ে ঘটনাটি ঊর্ধ্বত কর্মকর্তাদের জানালে ক্রসফায়ার দেওয়া হবে বলে পুলিশ সদস্যরা হারুনের বাড়ি ত্যাগ করেন। এরপর কথামতো এসআই হুমায়ূনের কাছে টাকা নিয়ে যান হারুন। এ সময় হারুন তার বৃদ্ধ মায়ের পেনশনের আট হাজার টাকা ফেরত চাইলে এসআই মতিউর আট হাজার টাকা ফেরত দেন। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হারুনের কাছ থেকে দফায় দফায় ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

ভুক্তভোগী মো. হারুন মিয়া বলেন, আমার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে আমি এর বিচার চাই। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে করো সঙ্গে না ঘটে সেজন্য আমি পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।

তবে অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে এসআই মতিউর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে এসআই হুমায়ূন কবির সব অভিযোগ মিথ্যা এবং তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্ত করো অভিযোগ প্রমাতি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com