আপডেট

x

কসবায় তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় সালিশে দেড় লাখ টাকা জরিমানা, থানায় মামলা

বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই ২০২০ | ৯:৪৪ অপরাহ্ণ |

কসবায় তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় সালিশে দেড় লাখ টাকা জরিমানা, থানায় মামলা
Spread the love

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় এক তরুণের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি মিমাংসায় সালিশ বৈঠকে অভিযুক্ত তরুণকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু সালিশের রায় না মেনে ভুক্তভোগী ওই তরুণী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) মামলাটি নথিভুক্ত করেছে কসবা থানা পুলিশ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা আজিজ মিয়ার ছেলে সাইফুলের সঙ্গে স্কুলজীবন থেকে একই গ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বর্তমানে সাইফুল ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। আর ওই তরুণী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজে অনার্সে পড়ালেখা করছে।

webnewsdesign.com

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন সাইফুল। সম্প্রতি ওই তরুণী সাইফুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় গত ২ জুলাই সাইফুলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী তরুণী।

বিষয়টি মিমাংসায় গতকাল বুধবার (১৫ জুলাই) গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মান্নান জাহাঙ্গীরসহ স্থানীয় মাতবররা সলিশ বৈঠক করেন। সালিশে সাইফুলকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু ভুক্তভোগী ওই তরুণীর পরিবার জরিমানার রায় মেনে নেয়নি। এরপর বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) ওই তরুণী দেওয়া লিখিত অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে পুলিশ।

ভুক্তভোগী ওই তরুণী বলেন, আমার পরিবারকে চাপ দিয়ে সালিশ বৈঠকে বসানো হয়। সালিশে আমাকে ধর্ষনের বিষয়টি প্রমানের জন্যে বলা হয়। কিন্ত আমি বলেছি এ ঘটনার তো কোন প্রমাণ থাকে না। এ কথায় তারা আমাকে গালমন্দ করে। সাইফুল আমার সঙ্গে যা করেছে, এর সমাধান বিয়ে নয়তোবা তার শাস্তি।

গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মান্নান জাহাঙ্গীর জানান, প্রায় শতাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তি সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে জুড়ি বোর্ডেই উপস্থিত ছিলেন ২৬ জন। ওই তরুণী যে ধর্ষিত হয়েছে তার কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি। জুড়ি বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাইফুলকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু ওই তরুণী সালিশের রায় মানেনি।

এ ব্যাপারে কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লোকমান হোসেন বলেন, ওই তরুণীর অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত সাইফুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সকালে ওই তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com