আপডেট

x

আজ সরাইল ধর্মতীর্থ গণহত্যা দিবস

শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৯ | ২:৫৫ অপরাহ্ণ |

আজ সরাইল ধর্মতীর্থ গণহত্যা দিবস
Spread the love

আজ সরাইল ধর্মতীর্থ গণহত্যা দিবস

আজ শুক্রবার ১৮ অক্টােবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ গণগত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে (১৮ অক্টােবর) ধর্মতীর্থ এলাকায় বর্বর পাকসেনারা তাদের এদেশীয় দােষরদের সহায়তায় উপজেলার চুন্টা ও কালীকচ্ছ ইউনিয়নের শতাধিক নারী-পুরুষকে একত্রে করে (যার অধিকাংশ সংখ্যালঘু) ধর্মতীর্থ এলাকায় নির্যাতন করে গণহত্যা করে। এটি ধর্মতীর্থ গণগত্যা নাম পরিচিত।

webnewsdesign.com

১৯৭১ সালের ৬ অক্টাবর মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় মুক্তিযােদ্ধারা মাইন বিস্ফােরণ ঘটিয়ে উপজেলার কালীকচ্ছ ধর্মতীর্থ এলাকায় স্থানীয় রাজাকার প্রধান, সরাইল থানা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান মুসলীম লীগ নেতা আবদুল মন্নাফ ঠাকুর ও তার দােসর বর্বর পাকসেনা কর্মকর্তা (ক্যাপ্টেন) এ রহমান খানসহ কয়েকজন পাকসেনাকে হত্যা করে। কয়েকদিন পর ধর্মতীর্থ নৌকাঘাট নাসিরনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও নাসিরনগর থানা শান্তি কমিটির আহবায়ক সৈয়দ সওয়াব মিয়া চৌধুরীসহ কয়েকজন পাকসেনাকে হত্যা করে অস্ত্রসস্ত্র কেড়ে নেয় মুক্তিযােদ্ধারা। এসব ঘটনার প্রতিশােধ নিতে পাকসেনারা স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় ১৮ অক্টােবর ধর্মতীর্থ নৌকাঘাটে গণহত্যা চালায়।

সরাইল উপজেলা মুক্তিযােদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আনােয়ার হােসেন বলেন, শুক্রবার কালীকচ্ছ ইউনিয়ন শাখা মুক্তিযােদ্ধা সংসদের উদ্যােগপ প্রশাসন কর্তৃক চিহ্নিত বধ্যভূমিতে পুস্পমাল্য অর্পন ও আলােচনা সভা হবে।

উপজেলা মুক্তিযােদ্ধা সংসদের কমান্ডারের দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন,‘ধর্মতীর্থ গণহত্যা দিবস পালনের কােনা নির্দেশনা তাঁর কাছে নেই বলে তিনি জানান। স্থানীয় একজন মুক্তিযােদ্ধা দিবসটি পালনের জন্য তাঁর কাছে এসেছিলেন বলে তিনি জানান।

প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সরাইল উপজেলার সেই বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের জন্য সাইনবার্ড স্থাপন করা হয়েছে। এটি সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ নৌঘাট অবস্থিত।

এখানে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হওয়া ৪৬ জনের তালিকাযুক্ত একটি নামফলক ছিল। গত ১০ জুলাই সন্ধ্যায় ওই বধ্যভূমি থেকে দুর্বৃত্তরা সেই নামফলক উধাও করে দেয়। এ নিয়ে গত ১৯ জুলাই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এস এম মােসা বধ্যভূমির ঠিক মাঝখানে একটি সাইনবার্ড স্থাপন করেন। যাতে লেখা রয়েছে ‘১৯৭১ সালর মহান মুক্তিযুদ্ধ পাকহানাদার বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত গণহত্যার স্মৃতি বিজড়িত স্থান। এই স্থানের পবিত্রতা রক্ষা করার জন্য অনুরােধ করা হইল।’

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com