অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কোর্টরোডস্থ গোলাপ রেস্ট হাউজ সংলগ্ন পুকুর ভরাট করে নির্মিত অবৈধ মার্কেট উচ্ছেদ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামছুজ্জামানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যামাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা এ উচ্ছেদ অভিযানের কারণে কোর্ট রোড দিয়ে সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক মাস ধরে ধাপে ধাপে গোলাপ রেস্ট হাউজের পূর্বদিকের পুকুরটি শহরের প্রভাবশালী একটি পরিবারের সদস্যরা রাতের আঁধারে বালু ফেলে ভরাট করে। এরপর সেখানে রাতারাতি টিন দিয়ে ‘অস্থায়ী সুপার মার্কেট’ বানিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দেয়া হয়। পরিবেশ অধিদফতর থেকে বাধা দেয়া হলেও সেটি আমলে নেয়নি প্রভাবশালীরা। এক বছর আগে পুকুর থাকা অবস্থাতেই শ্রেণি পরিবর্তন করে কাগজপত্রে ভিটি বানানো হয় পুকুরটিকে। ৭৬ শতক আয়তনের এ পুকুরটি ভূমি রেকর্ড অনুযায়ী দেবোত্তর সম্পত্তি বলে জানা যায়। তবে বিএস রেকর্ডে পুকুরটির মালিকানা হয়ে যায় শহরের পৈরতলার বজলুর রহমানের ছেলে আনিসুর রহমান আনিস, ফারুক আহমেদ ও গোলাপ মিয়াসহ তাদের চার ভাইয়ের নামে।
পুকুর ভরাট নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের নড়েচরে বসে প্রশাসন। পুকুর ভরাট করে নির্মিত মার্কেট উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়া হয়। পরে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামছুজ্জামানের নেতৃত্বে পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ মার্কেট উচ্ছেদ করেন। এ সময় সদর মডেল থানা পুলিশ ছাড়া র্যাব-১৪ এর একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। এ উচ্ছেদ অভিযান দেখতে শতশত মানুষ সেখানে ভীড় জমান।
অভিযান শেষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামছুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, পুকুর ভরাট করে স্থাপনা তৈরি মাধমে প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে। অবৈধ এই স্থাপনা উচ্ছেদ করে জায়গাটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে। পাশাপাশি পুকুরে ফেলা বালু অপসারণেরও ব্যবস্থা করা হবে।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন