আপডেট

x

অনুমোদন ছাড়া গাছ কেটে দরখাস্ত নিয়ে দৌড়ঝাঁপ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর

বুধবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ৮:১৪ অপরাহ্ণ |

অনুমোদন ছাড়া গাছ কেটে দরখাস্ত নিয়ে দৌড়ঝাঁপ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর
Spread the love

সরকারি অফিসের গাছ নিয়মের তোয়াক্কা না করে কেঁটে ফেলা হয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়া তড়িঘড়ি করে বন অফিসে গাছ অর্ধেক কেটে অনুমোদন আনতে দরখাস্ত পাঠায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়। জেলা শহরের পাইকপাড়ায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে এই ঘটনায় ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের মূল ফটকের পাশে একটি বড় কড়ুই গাছ ছিল৷ গাছটির মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। সেই গাছটি মঙ্গলবার উপ-সহকারী প্রকৌশলী নির্দেশে কাঠুরে দিয়ে কাটা শুরু করে বিক্রয় করার জন্যে। এই কাজটি জয়নাল নামের এক ঠিকাদারের দায়িত্বে কাঠুরেরা করছিলেন। দুপুর ঘনিয়ে বিকেল হলেও সেই গাছটি অর্ধেক কাটা হয়। এরই মাঝে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। জানাজানি হয়ে যাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশে উপ-সহকারী প্রকৌশলী বন বিভাগে গাছ কাটার আবেদন করেন।

webnewsdesign.com

বন বিভাগ অফিসের সূত্রে জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী সরকারি অফিসের কোন গাছ কাটতে হলে সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে তাদের উর্ধতন কর্মকর্তা থেকে অনুমোদন নিতে হবে। এরপর বন বিভাগে আবেদন করতে হয়। সেই আবেদন সরেজমিনে যাচাই-বাছাই করে গাছের মূল্য নির্ধারণ করে কাটার অনুমোদন দেন। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এই নিয়ম না মেনে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো গাছটি কেটে ফেলেছেন।

এই বিষয়ে কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসএফএনটিসির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান-২ মঙ্গলবার বিকেলে তার কার্যালয়ে জানান, ‘জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে কিছুক্ষণ আগে ফোন দিয়েছে বলেছে, একটি গাছ কাটার দরখাস্ত দিয়ে পাঠাচ্ছে। এর আগে তারা গাছ কাটার বিষয়ে কোন দরখাস্ত দেয়নি’। সন্ধ্যায় মুঠোফোনে এসএফএনটিসির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান-২ জানায়, ‘জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে গাছ কাটার বিষয়ে একটি দরখাস্ত পাঠিয়েছে। সেই দরখাস্ত অনুযায়ী ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি গাছ অর্ধেক কাটা হয়ে গেছে। তাদের গাছ কাটা জরুরী হলে দরখাস্ত আগেই করা দরকার ছিল’।

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সামিরা আক্তার রক্সি জানান,’গাছ কাটতে আমরা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছি। নিয়ম মেনে গাছ কাটা হয়েছে। আমরা বন বিভাগে দরখাস্ত দিয়ে অনুমোদন নিয়েছি’।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, ‘আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষ থেকে গাছ কাটতে অনুমোদন নিয়েছি। নিয়ম মেনে গাছ কাটা হয়েছে’।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com