অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রয় করে অবৈধ সম্পদের মালিক হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
রোববার রাজধানীতে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক) আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘কেউ বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করলে তা দেখা দুদকের এখতিয়ার নয়। এটা দেখবে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। তবে তাদের কাছ থেকে যদি কোনো তথ্য পাওয়া যায় যে কেউ বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে অবৈধ সম্পদের মালিক হচ্ছেন তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণহীন পেঁয়াজের বাজারের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর আমদানিকারকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আমরা শুধু সেটা পর্যবেক্ষণ করছি।’
উল্লেখ্য, দাম কম ও সহজ পরিবহনের কারণে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি করে থাকে বাংলাদেশ। তবে এ বছর ভারতের মহারাষ্ট্র ও অন্য এলাকায় বন্যার কারণে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে বেশ কিছুদিন আগে রফতানির ক্ষেত্রে ভারত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস (এমইপি) নির্ধারণ করে দেয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ রফতানিই বন্ধ ঘোষণা করে। এই অবস্থায় বাজারে সংকট তৈরি হলে বিকল্প হিসেবে মিয়ানমার থেকে এলসি এবং বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে বাংলাদেশ। পাশাপাশি মিশর ও তুরস্ক থেকেও এলসির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। সম্প্রতি মিয়ানমারও পেঁয়াজের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন