জামালরা সকাল-বিকাল কতজন নেতা বদল করলে নেতা হতে পারবে!!

শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১ | ৭:১৮ অপরাহ্ণ |

জামালরা সকাল-বিকাল কতজন নেতা বদল করলে নেতা হতে পারবে!!
Spread the love

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের এক নেতাকে নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন বিলুপ্ত আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান। তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে জামাল লস্কর নামের এক ছাত্রদল নেতার রাজনৈতিক চরিত্র তুলে ধরেছেন।

সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন-

webnewsdesign.com

“রাজনীতি! নেতা! ছাত্রনেতা!
রাজনৈতিক চরিত্র! রাজনৈতিক বাটপার! রাজনৈতিক বেশ্যা!!

সরাইলের ছাত্ররাজনীতি! কমিটি কমিটি খেলা!
রিফাত আমানের কমিটি! সবার বিদ্রোহ!

সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের (উজ্জ্বল – জব্বার) পরিষদের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন কমিটিতে কে আসছে তা নিয়ে গুন্জন শুরু। ক্রাইটেরিয়া না হইলে হইতোবা সিনিয়ররাই কমিটিতে আসতেন।
ক্রাইটেরিয়ার কারনে সিনিয়র ছাত্রনেতারা বাদ পরার কারনে আমরা জুনিয়র ছাত্রনেতারা পদ প্রত্যাশী হয়। প্রতিদ্বন্দ্বীতা করি।

মোটামুটি অনেকেই প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে। হেভিওয়েট প্রার্থী হিসাবে ছিলাম রিগান ভাই আর আমি সাথে জামাল লস্করও।
তারমধ্যে রিগান ভাই ছিল একক আহ্বায়ক প্রার্থী আর
আমি ছিলাম সদস্য সচিব ক্যান্ডিডেট। বাট আমার সাথে ৭ /৮ জনই ছিল সদস্য সচিব ক্যান্ডিডেট। তারমধ্যে জামাল লস্কর, আতাউর, হাফিজ মৈশান, জুনায়েদ, মীর ওয়ালিদ, মোস্কাকিম সহ আরো অনেকেই সদস্য সচিব ক্যান্ডিডেট ছিলেন।

লবিং তদবির শুরু-
রিগান ভাই সাবেক ছাত্রদলের পছন্দের প্রার্থী। আবার সদরের হিসেবে এবং একক প্রার্থী হিসেবে সে সবার ই পছন্দের ছিল।
আমি শেখ শামীম ভাইয়ের এবং সাবেক ছাত্রদলের পছন্দের প্রার্থী ছিলাম।
আতাউর ছিল তরুন দে ‘র পছন্দের প্রার্থী এবং আমাদের গ্রুপেরও।

ওদিকে জামাল ভাই ছিল আহসান উদ্দিন খান শিপন ভাইয়ের পছন্দের প্রার্থী।

কমিটির প্রকৃিয়া মোটামোটি রেডি। রিগান আহ্বায়ক আর আমি বা জামাল দুইজনের একজন সদস্য সচিব।

খেলা শুরু ……..!

আমি জেলা ছাত্রদলের সুপার ফাইভের ই পছন্দের ছিলাম এটা আমার ধারনা ছিল। যেহেতু একাধিকবার জেল খাটছি এবং একাধিক মামলার আসামী ছিলাম এইজন্য। পরবর্তীতে জেলা ছাত্রদলের সেক্রেটারি আমার সাথে পল্টি খাইছে আমি হাফিজ দিদারের লোক বলে প্রচার করে। আর এটার কারন ছিল জামাল লস্কর ফুজায়েল চৌধুরীর খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু এইজন্য। সে জামালকে সদস্য সচিব বানাবে এইজন্যই মুলত আমার সাথে প্রতারনার আশ্রয় নিচে। যাইহোক তারপর ও শুকরিয়া হাফিজ ভাই, দিদার ভাই, সমির ভাই, শাহিন ভাই এই চারজন ই আমার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করছে এবং ফাইনালি এই চারজন ই সফল হইছে।

জেলা ছাত্রদলের সেক্রেটারীর কারনে জেলা ছাত্রদল সমন্বয় করে কমিটি দিতে না পারাই কমিটি দপ্তরে চলে যায় এবং পরবর্তীতে এই সুযোগে রিফাত ইন হয়ে যাই। ঢাকাইয়া বিভিন্ন লবিং তদবিরে রিফাত আহ্বায়ক হয়ে যাই যদিও রিফাতকে জেলা ছাত্রদলের সুপার ফাইভের কেউ ই চাই নাই। পরবর্তীতে সাত্তার ভাই রিফাতকে আহ্বায়ক বানাইতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে এবং ওনি ওনার প্যাডে লিখিত ও দিছে। যাইহোক সর্বশেষ রিফাত লবিংয়ে হয়ে যাই।

আমি জেলা ছাত্রদলের সুপার ফোর এর পছন্দের। জামাল লস্কর সেক্রেটারির পছন্দের।
ওদিকে শিপন ভাই জামালের জন্য ডাই হার্ডেড সাথে জেলা সেক্রেটারি ও। জামালকে তারা বানাবেই।
শিপন ভাই জামালকে বানাইতে যা পরিশ্রম করছে তা অকল্পনীয়। জামাল লস্কর কোনদিন এই ঋণ শোধ করতে পারবে না বলে আমি মনে করি।
পরবর্তীতে জামালকে আহ্বায়ক হওয়ার প্রস্তাব ও দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু জামাল চাইছিলো আমি হইতাম। আমি রিগান ভাইকে আহ্বায়ক বানাইতে চাইছিলাম যার জন্য আমি হয় নাই। যদিও সর্বশেষ জামাল রাজি হইছিলো হইতে কিন্তু তখন জেলা সেক্রেটারি তাকে দেই নাই। কারন সেক্রেটারীর পরিকল্পনা ছিল শুধু আমাকে মাইনাস করা।

আমি হাফিজ দিদারের উপর ভরসা করে বসে রইলাম। সেই সাথে সাংগঠনিক টিমের ওপরও।
আর এদিকে আমার নামটা শুধু উপজেলা ছাত্রদল থেকেই জমা হইলো জেলাতে। আমি আর কারো সাথে যোগাযোগ ও করি নাই আর আমার নামও কেউ দেই নাই।

জামাল লস্করের নাম ও এই কমিটিতে ছিল যুগ্ন আহ্বায়ক হিসেবে।

পরবর্তীতে জামাল লস্কর সাত্তার ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে এবং তার নামটাও সাত্তার ভাইয়ের কমিটিতে আসে। দেওড়ার দুলাল ভাইয়ের গুটিতে সাত্তার ভাইয়ের কমিটিতে আমার নাম আসে নাই এবং জামাল লস্করের নাম আসে। যদিও আমি সাত্তার ভাইয়ের খুব আদরের ছিলাম আর জামাল লস্কর সাত্তার ভাইকে সবসময় গালাগালি করতো। এরপর অভিমানে আর সাত্তার ভাইয়ের সাথেও যোগাযোগ করি নাই।

পরবর্তীতে শাহবাজপুরের কামাল ভাইয়ের মাধ্যমে জামাল লস্কর ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানার সাথে যোগাযোগ করে এবং ওনাকে বুঝাতে সফল হয় যে জামাল ওনার লোক। এবং রুমিন ফারহানার মাধ্যমে জামাল লস্কর বিভিন্ন জায়গাই লবিং তদবির করাই।
এবং ওনার কাছ থেকে টিআর ও নেই। এবং এগুলো বিক্রি করেই চলতেছে বলে শুনতেছি।

জামাল লস্কর তো বেসিকলি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রহমান সাহেবের পছন্দের। সরাইল যখন আনোয়ার গ্রুপ আর রহমান গ্রুপের দ্বন্দ্ব তুঙে তখন সে রহমান গ্রুপে আমরা আনোয়ার গ্রপে। আনোয়ার গ্রপ মানে সাত্তার ভাইয়ের গ্রুপ। পরবর্তীতে যখন সাত্তার ভাইয়ের সাথে আনোয়ার মাষ্টারের দ্বন্দ্ব শুরু হইলো তখন আমরা সাত্তার ভাইয়ের সাথে।

পরবর্তীতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সেক্রেটারি আনোয়ার মাষ্টারকে তারা নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়। এবং জামালের পক্ষে একটা গ্রুপ সবসময় আনোয়ার মাষ্টারকে মিসগাইড করতে শুরু করে এবং জামাল আনোয়ার মাষ্টারের কাছের লোক হয়ে যাই।
জামালরা এখান থেকেই আনোয়ার মাষ্টারের সাথে মুন্না উজ্জলদের দ্বন্দ্বটা সৃষ্টি করে দেই এবং মোটামোটি এদেরকে আলাদা করে দেই। শুধু দ্বন্দ্বই লাগাই নাই জামাল লস্কর উপজেলা বিএনপির সুপার ফাইভ থেকে একটা কমিটি নিয়ে নেই যেখানে আমার নামটাই ২১ সদস্যের ভিতরে ছিল না। যেটা উপজেলা বিএনপিও টিক করে নাই তখন।

ওদিকে এক সাবেক চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে জামাল লস্কর ব্রাহ্মনবাড়িয়ার গনমানুষের নেতা বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইন্জিঃ খালেদ মাহবুব শ্যামল ভাইকেও মিসগাইড করে বুঝাইতে সক্ষম হয় যে ও ওনার খুব কাছের লোক। এবং শ্যামল ভাইকে দিয়েও ফোন করাই। যেটা পরবর্তীতে আমরা বুঝাইতে সক্ষম হয় যে ও সবার কাছেই যাইতেছে এবং এমন করে বুঝাইতেছে। ও রাজনৈতিক চিটিং।

তখন ফুজায়েল চৌধুরীর ক্ষমতা তুঙ্গে। ও কবির ভাইয়ের পছন্দের লোক। তারেক রহমান তাকে নিয়মিত ফোন করে।

তাছাড়া জামাল লস্কর একবার জেল খাটছে করোনার সময়। ওটাকে রাজনৈতিক মামলা বলে প্রচার করছে জেলা সেক্রেটারি। মুলত এই মামলাটা জেল খাটাটা ছিলো করোনার মামলাকে কেন্দ্র করে।
ওর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আশিক ভাইয়ের ছেলেকে দিয়ে একটা ভিডিও করাই যেখানে বলা হইছিলো ২৫ হাজার কোটি টাকা দিলে বাংলাদেশ থেকে করোনা নির্মুল করে দেয়া হবে এবং ১ লক্ষ কোটি টাকা দিলে সারা পৃথিবী থেকে করোনা নির্মুল করে দেয়া হবে। পরবর্তীতে এই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেলে এবং বিভিন্ন টেলিভিশন এবং পত্র পত্রিকায় আসলে সরাইল থানা পুলিশ ওই ছেলেকে রাতেই গ্রেপ্তার করে এবং এই ছেলের দেয়া তথ্যতে জামালকেও কিছুদিন পর পুলিশ গ্রেফতার করে। যা ছিল রাস্টদ্রোহি মামলা করোনাকে কেন্দ্র মিথ্যা তথ্য দেয়াই পুলিশ ওদেরকে গ্রেপ্তার করে এবং ও এটাকে রাজনৈতিক মামলা এবং জেল হিসেবে উপস্থাপন করে। এটাও ওর একটা বাটপারি ছিল।

জামাল লস্কর প্রথমে শিপন ভাই,
তারপর ফুজায়েল চৌধুরী,
তারপর সাত্তার ভাই,
তারপর রুমিন ফারহানা আপা,
তারপর উপজেলা বিএনপির সুপার ফাইভ, তারপর শ্যামল ভাই এভাবে সবাইকেই ব্যবহার করতে সক্ষম হয়।

কিন্তু এরপরও পারলো না। রিফাত আর আমি কমিটিতে আইসা পরলাম।

আসার পর ই শুরু হলো বিদ্রোহ। আমিও চুপ খেয়ে গেলাম যেহেতু রিগান ভাই আসতে পারে নাই। তাছাড়া আমরা দুজন ই সদরের বাইরের।
তার দুই তিন পরই উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি হয়ে গেলো। বিদ্রোহটা আরো বেড়ে গেলো। যেকোনো মুহুর্তে সরাইল বড় একটা অঘটন ঘটে যেতে পারে। খুনাখুনির পরিবেশ। স্থির হয়ে গেলাম।
এদিকে রিফাত আমাকে ম্যানেজ করতে না পারাই সে অরুয়াইলে মিছিল করে ফেললো। এখন আমি পরলাম মহা বিপদে। একটা মিছিল যদি না করি ইজ্জত থাকে না। তাছাড়া আমি করলে সরাইল বাজারেই করব প্লান আমার। ওদিকে সরাইল যেকোনো মুহুর্তে বড় ধরনের হানাহানি হয়ে যেতে পারে এই চিন্তা ও। তাছাড়া আমাদের গ্রুপের কথা ছিল রিফাত যদি অরুয়াইলে করেই ফেলে তাইলে তারা আমাকে আর আতাউর কে দিয়ে সরাইল মিছিল করাই দিবে। পরবর্তীতে তারাও ইউটার্ন করে। পরে আমি আতাউর কে নিয়ে সরাইলে যেভাবেই হোক আনন্দ মিছিলটা করি।

তখন সবগ্রুপ মিলাইয়া অনেককেই প্রেশার ক্রিয়েট করে পদত্যাগ করাইয়া ফেলে।
সর্বশেষ কমিটি ভেঙ্গেই ফেলে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক।

আমি হইলাম বলির পাঠা।

তখনো জামাল লস্কর ফুজায়েল চৌধুরীর লোক, শিপন ভাইয়ের লোক, উপজেলা বিএনপির সাবেক কমিটির সভাপতি সেক্রেটারির লোক, রুমিন ফারহানার লোক সহ আরো অনেকের লোক।

উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি আসার পর তারা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এর বিরুদ্ধে জুতা, ঝাড়ু মিছিল করে। কুশপুত্তলিকা দাহ করে। কবির ভাইয়ের বিরুদ্ধেও মিছিল করে জামালেরা।
আনিস ঠাকুরের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে!
তপুর দুই গালে, জুতা মারো তালে!
বানিজ্যিক কমিটি মানে না মানবে না এই মর্মে মিছিল মিটিং ও করে অনেক দিন।

এর ভিতরেই কবির ভাইয়ের সাথে ফুজায়েলের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়ে যাই এবং কবির ভাই ফুজায়েলকে সাইড করে দেই। আবার ওদিকে তপু ভাইয়ের কমিটিও টিকে যাই।

তখনি জামাল আবার ইউটার্ন করে ফুজায়েলকে রেখে কবির ভাইয়ের কাছে চলে যাই। যদিও জামাল ফুজায়েলের বন্ধু।
আবার ওদিকে আনোয়ার মাষ্টারদেরকে ফেলে তপু ভাইয়ের কাছে চলে যাই।

এভাবেই জামালরা ঘন্টাই ঘন্টাই, সকালে রাতে নেতা বদলাইতেছে, চরিত্র বদলাইতেছে আবার নসীহতও দিতেছে!

এখন আবার শুনতেছি সে নাকি আহ্বায়ক প্রার্থী!
তাও আবার তপু ভাইয়ের প্যানেল থেকে, কবির ভাইয়ের থেকে!
তো কইদিন আগে যে কবির ভাই, জিল্লু ভাই,আনিস ঠাকুর তপু ভাইয়ের ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিছিল মিটিং করলো এগুলো কি তারা এখনিই ভুলে গেছে নাকি?

কবির ভাইয়ের লোকেরা বা তপু ভাইয়ের লোকেরাও কি জামালদের এইসব কুকর্ম ভুলে গেছে নাকি?

আর এভাবে সকাল বিকাল কতজন নেতা বদলাইলে জামালরা নেতা হইতে পারবে তাও আমার প্রশ্ন!!

এরপর আর কার কাছে যাবে তাও আমার জানতে ইচ্ছে করে!!”

আমান উল্লাহ আমান এর ফেসবুক স্ট্যাটাস লিখার বিষয়ে মতামত জানতে অভিযুক্ত জামাল লস্করের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে আমান উল্লাহ আমানের স্ট্যাটাসে বিলুপ্ত উপজেলা ছাত্রদল কমিটির আহবায়ক রিফাত বিন জিয়া কমেন্টে লিখেন, ‘ভাই,অনেক সময় নিয়ে পড়লাম এবং সব তথ্য উপাত্তই মোটামুটি সত্য বলে মনে হচ্ছে।ধন্যবাদ আপনাকে অনেক না জানা তথ্যও আজ জানতে পারলাম।
রিফাত-আমান কমিটি টিকে নাই কিন্তু রিফাত আমান শেষ পর্যন্ত ঠিক লক্ষে গিয়ে পৌছেছিল।শুধুমাত্র নিষ্ঠা আর সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে।আর নেতা না চেইঞ্জ করে।এক নেতায় আস্থা রেখেই এগিয়েছিলাম ভাই।আমার নেতা তারেক রহমান আর উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া এম,পি মহোদয়’।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com