হত্যা মামলায় বিজয়নগর যুবলীগ নেতা কাউসারসহ সাতজন কারাগারে

রবিবার, ৩০ মে ২০২১ | ১১:১০ অপরাহ্ণ |

হত্যা মামলায় বিজয়নগর যুবলীগ নেতা কাউসারসহ সাতজন কারাগারে
বিজয়নগর যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক আবু কাউসার ভূইয়া।-ফাইল ছবি
Spread the love

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি হত্যা মামলার প্রধান আসামী যুগলীগ নেতাসহ সাতজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। রোববার (৩০মে) দুপুরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা আসামীরা হলেন, জেলার বিজয়নগর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু কাউসার ভূঁইয়া (৩৯), আবু কাউসারর আপন চাচাতো ভাই আসাদ ভূঁইয়া (২৪), জয়  ভূঁইয়া (২৫), পিয়াস ভূঁইয়া (২০), নাইম  ভূঁইয়া (২৪) ,শরীফ ভূঁইয়া (২০) ও পিন্টু মিয়া (৪৫)। তারা সবাই হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভূক্ত আসামী।

webnewsdesign.com

মাদকবিরোধী সভা করায় গত বছরের ২৪ মে সকালে উপজেলার নজরপুর গ্রামে যুবলীগ নেতা কাউসার ও তার লোকজন আবু নাছের (৩৫) এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে হাত-পা ভেঙ্গে দেন। গত বছরের ২৯ মে রাত ১১টার দিকে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আবু নাছের উপজেলার সেজামূড়া গ্রামের আবু শামার ছেলে এবং আউলিয়া বাজারের ব্যবসায়ী। যুবলীগ নেতা কাউসারও একই গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় লোকজন ও এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ মে বিকেলে সেজামূড়া গ্রামে ৬০ থেকে ৬৫ জন স্থানীয় হুমায়ূন কবির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মাদকবিরোধী সভা করেন। পরদিন সকালে নাছেরের দাদি মারা যান। কাফনের কাপড় কিনে ফেরার পথে নজরপুর গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে কাউসারসহ ১২ থেকে ১৪ জন রড শাবল ও কাঠের লাঠি দিয়ে নাছেরকে বেধড়ক পেটানো শুরু করেন। এক পর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে নাছেরকে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন নাছেরকে উদ্ধার করে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যান। গত বছরের ২৪ মে রাতেই নিহতের বাবা আবু শামা কাউসারসহ নয়জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু গত বছরের ২৯ মে রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবু নাছের। পরে নিহতের বাবা বাদী আবু শামা বাদী হয়ে কাউসারকে প্রধানসহ ১৭জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এসব ঘটনার পর যুবলীগ নেতাসহ অন্যান্য আসামীদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আর যুবলীগ নেতা কাউসারের বিরুদ্ধে উপজেলা যুবলীগ বা জেলা যুবলীগ এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থাও নেননি। চলতি বছরের গত ২ মার্চ কাউসার, তাঁর চাচাতো ভাই আসাদ, পিয়াস, শরীফ নাইম, জয় ও স্থানীয় পিন্টুসহ ১১জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়। এর আগে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ২০১৮ সালের ১৫ আগস্ট ইউপি সদস্য বাছির মিয়াকেও মারধর করেন কাউসার ও তার লোকজন।

নিহতের বাবা আবু শামা বলেন, মাদক ব্যবসা প্রতিরোধসভায় অংশ নেওয়ার যুবলীগ নেতা মারধর করে আমার ছেলের ডান হাত ও ডান পায়ের হাড় ভেঙ্গে ফেলে।  যুবলীগ নেতা হওয়াই পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। আমি মাদক ব্যবসায়ী কাউসারের বিচার চাই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ আদালতের পরিদর্শক দিদারুল আলম বলেন, উপজেলার বিজয়নগরের একটি হত্যা মামলায় কাউসারসহ সাতজন জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com