আপডেট

x

নাসিরনগরে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন

লাইজুকে গলায় ওরনা প্যাঁচিয়ে হত্যা করে বাবা, সহযোগিতা করেন ভাই-মামা

মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০ | ১২:৩০ অপরাহ্ণ |

লাইজুকে গলায় ওরনা প্যাঁচিয়ে হত্যা করে বাবা, সহযোগিতা করেন ভাই-মামা
Spread the love

নিখোঁজ ছিলেন না লাইজু আক্তার (১৫)। তাকে বাবা, আপন বড় ভাই ও আপন মামা শ্বাসরুদ্ধ হত্যার পর ডোবার মাঝে কচুরিপানার নিচে মরদেহ লুকিয়ে রাখে। পুলিশ গত শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ধরমন্ডলে তরুণীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে।

এই ঘটনা জড়িত থাকায় গ্রেফতার করা হয়েছে নিহত লাইজুর পিতা সনু মিয়া (৬৫), বড় ভাই আদম আলী (২৫) ও মামা মাজু মিয়া (৩০)কে।

webnewsdesign.com

সোমবার মধ্যরাতে জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে নেতৃত্ব দেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সরাইল সার্কেলের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোজাম্মেল হোসেন রেজা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা জানান, গত শনিবার (২৭জুন) নাসিরনগরের ধরমন্ডল এলাকার একটি ডোবা থেকে লাইজু আক্তার নামের তরুণীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ মরদেহ উদ্ধারে পর পরিবারের সদস্যরা জানায় লাইজু ৫দিন যাবত নিখোঁজ ছিল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা আরও বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও পরিবারের বক্তব্যে ৫দিন খোঁজের বিষয়টি জানতে পেরে লাইজুর পরিবারের উপর সন্দেহ হয়। কারণ একটি তরুণী ৫দিন যাবত নিখোঁজ ছিল অথচ পরিবারের সদস্যরা একটি জিডিও করেননি থানায়। এই সন্দেহ থেকে কৌশলে তাদের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরই একপর্যায়ে তার আপন মামা মাজু মিয়া হত্যা কান্ডের কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে।

পুলিশের কাছে নিহত লাইজুর মামা মাজু মিয়া বলেন, লাইজুর মামার বাড়ি ও তাদের নিজ বাড়ি পাশাপাশি। লাইজু তার মামার বাড়িতেই থাকতো এবং ঘুমাতো তার নানীর সাথে। লাইজুর স্বভাব চরিত্র ভাল ছিল না। প্রায়ই বিভিন্ন ছেলেদের সাথে বিভিন্ন স্থানে শারীরিক মেলামেশা করত। পরিবারের কারো কথা তোয়াক্কা করতো না। গত ২২জুন মাজু মিয়া রাতে তার বসত ঘরের পেছনে পাটক্ষেতে লাইজু আক্তারকে পর পুরুষের সহিত অবৈধ কাজ করতে দেখে ফেলে। বিষয়টি লাইজুর পিতা সনু মিয়া ও মাকে জানায় মাজু মিয়া। এরপরই পরিকল্পনা করা হয় লাইজুকে হত্যার। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৩জুন রাতে লাইজুকে কৌশলে বাড়ির পাশে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় বাবা সনু মিয়া ও মামা মাজু মিয়া। সেখানে মামা মাজু মিয়া ভাগ্নি লাইজুর হাত-পা চেপে ধরে ও বাবা সনু মিয়া লাইজুর গলায় ওরনা প্যাঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। এর কিছুক্ষণ পর লাইজুর ভাই আদম আলী ঘটনাস্থলে আসলে তিনজনে মিলে লাইজুর মরদেহ ডোবায় ফেলে দিয়ে কচুরিপানা দিয়ে চাপা দিয়ে রাখে। এরপর তারা প্রচার করেন লাইজু নিখোঁজ রয়েছে৷

 

-রাফি/-

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com