ডিপজলকে উপহার দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভক্ত বানালেন তাজমহলের আদলে খাট!

রবিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৮:৪৯ অপরাহ্ণ |

ডিপজলকে উপহার দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভক্ত বানালেন তাজমহলের আদলে খাট!
Spread the love

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফার্নিচার ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া। তিনি সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের মীরহাটি এলাকার আবদুর সাত্তার মিয়ার ছেলে। ঢাকাইয়া চলচ্চিত্রের খল অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের অন্ধ ভক্ত তিনি। ডিপজলকে ভালবেসে ‘মামা’ বলে ডাকেন দুলাল। তার প্রতি ভালবাসা থেকে ২৫ লাখ টাকা খরচ কর ৩ বছর ৮ মাস সময়ে নিজ হাতে তৈরি করেছেন বিশাল খাট। এই খাট দেখতে প্রতিদিনই অসংখ্য উৎসুক মানুষ আসেন। দুলালের ইচ্ছে চলচ্চিত্র অভিনেতা ডিপজল এই খাট উপহার হিসেবে গ্রহণ করবেন।

ফার্নিচার ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া জানান, ২০০৮ সালে মনোয়ার হোসেন ডিপজল অভিনীত ‘দাদীমা’ সিনেমা দেখার মাধ্যমে অভিনেতার প্রতি ভালবাসার জাগে৷ এরপর থেকেই নিয়মিত ডিপজলের ছবি দেখা শুরু করেন তিনি। একসময় নিজের অজান্তেই ডিপজলের একজন অন্ধ ভক্ত হয়ে যান দুলাল৷ এমনকি ভালোবেসে তিনি ডিপজলকে মামা নামে ডাকেন।

webnewsdesign.com

তিনি আরও জানান, ডিপজল মামার প্রতি ভালবাসার কারণে উনাকে নিজের হাতে বানিয়ে ভিন্ন কিছু উপহার দেওয়ার ইচ্ছে হয়। তাই ধীরে ধীরে দীর্ঘ ৩ বছর ৮ মাসে তাজমহলের ডিজাইনে খাট তৈরি করেছি। খাটটির দৈর্ঘ্য সাড়ে ৮ ফুট এবং প্রসস্থ সাড়ে ৬ ফুট। খাটি তৈরি করতে আসল আকাশি কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া নকশায় ব্যবহার করতে হয়েছে ৩৮৭টি গোলাপ ফুলের ডিজাইন ও বিভিন্ন অংশ সংযোগ করতে ব্যবহার হয় ৮০টি নাট। আমি যেহেতু বেশির ভাগ সময়ে ব্যবসার কারণে দোকানে থাকি, খাটটি চোখের সামনে যেন থাকে তাই আমার দোকানেই রেখেছি।

এদিকে, ডিপজলের এই অন্ধ ভক্তের খাট তৈরির খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক মানুষ তার দোকানে ভীড় জমাচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. জয়নাল বলেন, দুলাল আমাদের এলাকার ছোট ভাই। অভিনেতা ডিপজলকে মামা বলে ডাকেন। তার প্রতিটি সিনেমা দুলাল দেখেছেন। ডিপজলের কোন পোস্টার পেলেই দোকানে এনে লাগাতেন। ডিপজলের প্রতি ভালবাসা থেকেই এই খাট তৈরি করেছে। দুলালের এই খাটটি ডিপজল গ্রহণ করলে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।

পাপন নামের আরেক যুবক বলেন,যে কোন জায়গায় ডিপজলের ছবির খবর পেলেই সেখানে চলে যেতেন।  সে ডিপজলের অন্ধ ভক্ত। কারো সাথে কথা বললেও ডিপজলের শুধু প্রশংসাই করেন। আর এই খাটটি তৈরির সময় অনেকটা গোপনেই করেছে, কাউকে সামনে যেতে দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে সবার কৌতুহল ছিল।

দুলালের বড় ভাই মোহাম্মদ হুমায়ুন বলেন, আমার ছোট ভাই দীর্ঘ তিন বছর ৮ মাসে এই খাট ডিপজলের জন্যে তৈরি করেছেন। অনেক খাটটি অনেক শখ করে বানিয়েছে। এই খাটের উছিলায় যেন ডিবজলের সাথে দুলালের দেখা হয় এবং এই খাটটি যেন তিনি উপহার হিসেবে গ্রহণ করেন।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com