জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া কেন্দ্রীয় জেলা জামে মসজিদের খতীব, বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ আলেমেদ্বীন আমার বোখারী শরীফ সহ অসংখ্য কিতাবের উস্তাদ আল্লামা মুফতী নুরুল্লাহ (রহঃ)।২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী আমাদের ছেড়ে রফিকে আ’লার দরবারে চলে গেলেন আল্লামা মুফতী নুরুল্লাহ (রহঃ)।
আল্লামা মুফতী নুরুল্লাহ (রহঃ) ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় আমাদের আক্বাবির আসলাফদের সর্বশেষ বাতিঘর। যার আলোতে আলোকিত হতো গোটা উম্মত।
ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম (রহঃ)’র খাস শাগরেদ হওয়ায় আমাদের পরিবারের সাথে ছিল হজরতের আত্মার বন্ধন। হুজুরের সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।
রমজানে দীর্ঘ একমাস এতেকাফ শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ভোরবেলায় এতেকাফ ভেঙ্গে জামে মসজিদ থেকে বের হয়ে সর্বপ্রথম ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম (রহঃ)’র মাক্ববারা যিয়ারত করেই আমাদের বাসায় আসতেন। দাদীকে আম্মা বলে ডাকতেন। দাদীর সাথে সাক্ষাৎ করে কুশল বিনিময় করতেন। নিজচোখে দেখতাম উস্তাদের স্ত্রীর প্রতি কতটা আদব বজায় রেখে হজরত কথা বলতেন। যাবার সময় আমাদের পরিবারের সকলকেই দিতেন ঈদের হাদিয়া।
ইন্তেকালের সপ্তাহ দশদিন আগে কি মনে করে যেন নিজ ইচ্ছা থেকে আমাকে উল্লেখযোগ্য বেশকিছু নসিহত করেছিলেন। তবে সেই নসিহত গুলো প্রায় ওছিয়ত হয়ে গেলো। এমন কিছু ওছিয়ত করলেন যা মেনে চলতে গিয়ে অনেক সময় হয়তো কারো রোষানলে কিংবা কারো আক্রোশে ও আমাকে পড়তে হয়।
আল্লাহতায়ালা হজরতের দারাজাত বুলন্দি করে দিক, আমাদের উপর হজরতের রুহানি তাওয়াজ্জুহাত ও ফয়ূযাত দিয়ে মালামাল করে দিক।
লেখক
মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান
ছাত্র, মুফতী নুরুল্লাহ (রহঃ)।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন