ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের সরিষা ক্ষেত মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার দুবাজাইল দক্ষিণ পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুবাজাইল দক্ষিণ পাড়ার মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলামের সাথে জায়গা জমি নিয়ে একই বংশের মাসুক আলী, এমরান মিয়া, আব্দুস সাত্তার ও আশক আলীর বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। গত বছরের ২৬ নভেম্বর সকালে শরিফুল ইসলামের ভাইয়ের ছেলে আবুল কাশেম জমি চাষ করে বাড়ি ফেরার পথে মাসুক আলী, এমরান মিয়া, আব্দুস সাত্তার ও আশক আলী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র সহ দলবল নিয়ে হামলা করে তাকে গুরুতর আহত করে। ভাতিজার উপর হামলার ঘটনায় গত ১ জানুয়ারি সরাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন শরিফুল ইসলাম। এই মামলায় পুলিশ আব্দুস সাত্তার ও মাসুক আলীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। প্রথমে আব্দুস সাত্তার এবং সম্প্রতি মাসুক আলী আদালতের দেওয়া জামিনে মুক্ত হয়ে আসেন। এরই জেরে শনিবার সকালে আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দলবল নিয়ে শরিফুল ইসলামের বাড়ির পাশে তার একটি সরিষা চাষাবাদ করা জমি উপড়ে ফেলে মাটিতে মিশিয়ে দেয় আসামীরা৷ ফলে এই বছর আর এই জমিতে সরিষা চাষাবাদ আর হচ্ছে না।
শরিফুল ইসলামের একমাত্র ছেলে জাকির হোসেন পাভেল বলেন, কিছুদিন পর পাকা হলে এই সরিষা উত্তোলন করা হতো। অথচ তারা কাঁচা গাছ গুলোই উপড়ে ফেলেছে। তিনি বলেন, যে জমিটি নিয়ে বিরোধ তা প্রায় ৩০ বছর আগে আমরা ক্রয় করেছি। তারা জমিটি জবর দখল করে নিতে চায়। একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছে তারা। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এই বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মাসুক আলীর মুঠোফোন নাম্বারে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। আব্দুস সাত্তারের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, এই বিষয়ে কোন মামলা দায়ের বা কাউকে অবগত করা হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন