শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও রূহের মাগফেরাত কামনার মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রথম সংবাদপত্র সাপ্তাহিক তিতাস এর সম্পাদক, বিশিষ্ট লেখক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত রেজাউল করিমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতেতে তাকে স্মরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় পবিত্র কোরআন খতম শুরু হয়। মরহুমের নিজ বাসভবনে একটি কোরআন খতমের আয়োজন করা হয়। পরে আত্মার মাগফেরাত কামনা দোয়া করানো হয়। এসময় দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা নূরুল্লাহ আল মাদানী। দোয়ায় পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা অংশগ্রহণ করেন।
পরে বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে এক স্মরণ সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি এফ জামিল পাভেলের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চৌধুরী রিপনের সঞ্চালনায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আবু হানিফ, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, কালিবাড়ি মোড়-গোকর্ণ রোড ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ তারেক মাহমুদ তুহিন, কথা সাহিত্যিক ও লেখক আমির হোসেন, নোঙর- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি শামীম আহমেদ, উদীচী শিল্প গোষ্ঠীর সভপতি জহিরুল ইসলাম স্বপন, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, কবি সাদমান সাদি, দৈনিক সংবাদ সারা বেলার প্রতিনিধি আবুল হাসনাত অপু, কবি মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, রিপোর্টার্স ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক সোহেল সরকার, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম আহাদ প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিক ও লেখক রেজাউল করিম তিনি ছিলেন সৎ ও সাহসী সাংবাদিক। তিনি সবসময় মানুষের কল্যাণে লিখতেন। শুধু সাংবাদিকতা নয়, তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর জন্য লিখে গেছেন অমূল্য তিনটি বই। যে বইগুলো দিয়ে আগামী তরুণ সমাজের গবেষনা হিসেবে কাজে আসবে৷ রেজাউল করিমকে সর্বদা বাঁচিয়ে রাখতে চাইলে উনাকে নিয়ে গবেষনা করা প্রয়োজন। উনার মত একজন গুনী মানুষকে নিয়ে গবেষনা না করতে পারলে তার লালন করা নীতিনৈতিকতা ও আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয়৷
এসময় মরহুমের ছেলে সাংবাদিক মাজহারুল করিম অভি তার পিতার রূহের মাগফেরাত কামনা করে সবার কাছে দোয়া চান।
বক্তব্য শেষে মরহুম রেজাউল করিমের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা গাজীউর রহমান৷
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন সাপ্তাহিক সাকিয়াত সংবাপত্রে কাজ করার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সর্বপ্রথম প্রকাশিত সংবাপত্র “সাপ্তাহিক তিতাস” এর মালিকানা লাভ করেন এবং প্রকাশক ও সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পালন করে যান সে দায়িত্ব। তার সুযোগ্য নেতৃত্ব, অসামান্য সাংগঠনিক দক্ষতা পত্রিকাকে দ্রুততম সময়ে পাঠকপ্রিয় করে তোলে।
তার জীবদ্দশায় তিনি লিখে যান যাদের জন্মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ধন্য, ভাষা আন্দোলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, এবং কাজী নজরুল ইসলামকে গবেষণা করা বিদ্রোহী কবির মর্মকাহন নামের অমূল্য তিনটি বই।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন