আপডেট

x

শুরু হয়েছে পবিত্র হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা

শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১ | ১০:৩০ অপরাহ্ণ | 249 বার

শুরু হয়েছে পবিত্র হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা

এই বছরও করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে পালিত হবে পবিত্র হজ্জ। শনিবার সীমিত পরিসরে ও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সৌদি আরবে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা। বাইরের দেশ থেকে কেউ অনুমতি না পেলেও সৌদি আরবে থাকা ১৫০টি দেশের নাগরিকসহ এবারের হজে অংশ নিচ্ছেন ৬০ হাজার মানুষ।

তবে করোনা মহামারির কারণে বড় ধরনের সমাগম নিষিদ্ধ করা হয়। নিষিদ্ধ করা হয় বিদেশি হজযাত্রীদেরও। তাই গত বছর সীমিত পরিসরে স্থানীয় এবং সৌদি অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের হজ করার অনুমতি দেয়া হয়। এ বছর একই ব্যবস্থা পবিত্র হজ পালিত হবে।

webnewsdesign.com

ইসলামের ৫ স্তম্ভের একটি হজ। পবিত্র মক্কায় হাজীদের বায়তুল্লাহ জিয়ারত, আরাফাতের ময়দানে অবস্থানসহ আনুষঙ্গিক আরো কিছু আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে হজ পালিত হয়। বিত্তবান ও শারীরিক সামর্থ্যবান মুসলমানের ওপর জীবনে একবার হজ পালন করা ফরজ এবং প্রতি বছর কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব।

সৌদি আরবের স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা থেকে মক্কায় পৌঁছাবেন এবারের হজে অনুমতি পাওয়া মুসল্লিরা। ৫ লাখ ৫৮ হাজার আবেদনকারীর মধ্য থেকে মাত্র ৬০ হাজার মুসল্লি এবার হজে অংশ নেওয়ার সুযোগ প্যেছেন। হজের অনুমতি পাওয়া সবাই কোভিড-১৯ টিকার দু’টি ডোজই নিয়েছেন বলে জানা গেছে। বড় ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতা নেই, যারা সুযোগ পেয়েছেন তাদের সবার বয়স ১৮ থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত।

এবারের জিলহজ মাসের নবম দিন আরাফার দিন অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র হজ। চলতি বছরে আরাফার দিনের খুতবা দেবেন মক্কার মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শেখ ড. বন্দর বিন আবদুল আজিজ বালিলা।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নির্ধারিত ৪টি অভ্যর্থনা গেটের মাধ্যমে হাজীদের পবিত্র কাবা শরীফে প্রবেশ করতে হবে। এই চারটি অভ্যর্থনা গেট হচ্ছে- আল জাইদি, আল নুরিয়া, আল শারায়েই ও আল নাসিম। এই গেটগুলো ছাড়া মসজিদুল হারামে অন্য কোনো স্থান দিয়ে প্রবেশের সুযোগ নেই।

সৌদি আরবের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে করোনা মহামারির মধ্যে হজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র এক হাজার মানুষ। মহামারি শুরুর আগে ২০১৯ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ২৫ লাখ।

আগামী ৮ জিলহজ (১৮ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে হজ শুরু হবে। এরপর দিন ৯ জিলহজ (১৯ জুলাই) আরাফার ময়দানে উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে পবিত্র হজ পালন করবেন হাজীরা। পরদিন ১০ জিলহজ (২০ জুলাই) মিনায় কঙ্কর নিক্ষেপ ও কোরবানি করেন হজ পালনকারীরা।

আল-আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, বিভিন্ন স্থানে হাজিদের সেবা দিতে ৪৫টি স্ট্রোক সেন্টার থাকবে। জাবালে রহমত এলাকায় ২৩টি ও মিনা প্রান্তরে থাকবে ২২টি।

এছাড়াও ৪২টি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র থাকবে। হজের স্থানগুলোতে চিকিৎসাসেবা দিতে কাজ করবে ৩২টি চিকিৎসক দল ও ৩৬টি অ্যাম্বুলেন্স।

উল্লেখ্য, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের সময় আরাফাতের ময়দানে ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই রীতি অনুযায়ী প্রতি বছর ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা দেওয়া হয়। এবার ১৫০ দেশের নাগরিকসহ মোট ৬০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালন করবেন।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com