জানাজা শেষে মায়ের কবরের পাশে দাফন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারকে। সোমবার (০২ অক্টোবর) বাদ আসর শহরের কাজীপাড়ায় জেলা ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তাকে শহরের শেরপুর কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে।
তার জানাজায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ,বি তাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি।
এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা ও নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
আল মামুন সরকারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, বিমান পরিবহন মন্ত্রী মাহবুব আলী সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা শহরের বাগানবাড়ি এলাকায় তার শ্বশুরবাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
আল মামুন সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের আয়নাডোবা গ্রামে ১৯৫৮ সালে ছাফিউর রহমান সরকার ও আনোয়ারা বেগমের সংসারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৭ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন আল মামুন সরকার। আল মামুন সরকার রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের চেয়ারম্যান। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। সর্বশেষ জেলা পরিষদের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেন।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন