আপডেট

x

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লইস্কা বিলের সেই নৌপথে আবারও ঝুঁকি নিয়ে চলছে নৌকা (ভিডিও)

শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর ২০২১ | ৯:১৩ অপরাহ্ণ | 191 বার

Spread the love

চলতি বছরের ২৭ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় মাগরিবের আযান শেষে দিনের আলো নিভে গিয়ে আধাঁর ঘনিয়ে আসছিল। এসময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চর ইসলামপুর ইউনিয়নে লইস্কা বিল নামক এলাকায় ঘটে এক মর্মান্তিক হৃদয়বিদারক ঘটনা। একটি যাত্রীবাহী নৌকার সাথে বালি বুঝাই বাল্কহেডের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২৩জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এই দূর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এই ঘটনায় পেছেনে দোষের পাল্লা ভারি যাত্রীবাহী নৌকাটির। এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এই নৌপথে চলাচলকারী নৌকাকে ঝুঁকি এড়াতে নির্দিষ্ট যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে বলা হয়। কিছুদিন প্রশাসনের এই নির্দেশনা মেলে চলে নৌকা গুলো। কিন্তু এখন আবার পুরোনো রূপে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল নিয়ে চলাচল করছে নৌকা গুলো।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ঘাট থেকে সদরের আনন্দবাজার ঘাট পর্যন্ত প্রতিদিন ১৪টি ইঞ্জিনচালিত যাত্রীবাহী নৌকা চলাচল করে। এই নৌপথের চলাচলকারী কোনো নৌকার রুট পারমিট নেই। রুট পারমিট নিলে বয়া, লাইফ জ্যাকেট কিনে নৌকায় রাখতে হয়। অতিরিক্ত খরচের কারণে নৌকার মালিকেরা রুট পারমিট নিতে চাননি। গত ২৭ আগস্ট নৌ দূর্ঘটনার পর এই রুটে চলাচলকারী নৌকা গুলোকে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহণ করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। যাত্রীবাহী নৌকায় ১০-১২জন যাত্রী নিতে বলা হয়। মালামাল বহণ করলে তার সাথে সমন্বয় করে যাত্রী নিতে হবে। এই নিষেধাজ্ঞার পর মাস দেড়েক তা মেনে চলে নৌকার মালিকেরা। কিন্তু সম্প্রতি আবার আগের মতো অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল সহ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে নৌযান গুলো। এতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে যাত্রীরা।

webnewsdesign.com

অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন করার বিষয়ে মাসুদ মিয়া নামের এক নৌকার মাঝি বলেন, ‘প্রশাসন থেকে যতটুকু যাত্রী নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তা আমরা মেনে চলার চেষ্টা করি। কিন্তু এত কম যাত্রী নিলে আমরা কিভাবে চলবো? তবে অনেকেই অতিরিক্ত যাত্রী নিচ্ছে বলে তিনি স্বীকার করেন’।

নজরুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন,’ অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ। এসব বিষয়ে মাঝিদের জিজ্ঞেস করলে তারা লোকসানের মধ্যে থাকবেন। আমাদের তো আর কিছু করার নেই, গন্তব্যে যেতে তো হবে’।

এই বিষয়ে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নৌ দূর্ঘটনাটি আমি যোগদান করার আগে। আমি যোগদানের পর নৌকা মালিক ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আলোচনা করেছি। আলোচনা শেষে আমরা বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এরমধ্যে একটি ছিল প্রত্যেক নৌকা তাদের ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী বহণ করবেন। যদি মালামাল বহণ করা হয়, তখন যাত্রী সংখ্যা আনুপাতিক হারে আরও কমাতে হবে’। তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি তদারকি করতে একটি টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছিল। এই টিমে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা রয়েছেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় হয়তো চেয়ারম্যানের কথা তারা শুনছেন না। অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহণের বিষয়টি দেখতে থানা পুলিশকে দেখতে বলা হবে’।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ামিন হোসেন বলেন, ‘আমি আসার আগেই নৌকা দূর্ঘটনাটি ঘটে ছিল। নৌ চলাচলের বিষয়টি আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো’।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com