বিজয়াদশমীর মধ্য দিয়ে দেবী দূর্গাকে এক বছরের জন্য বিদায় জানানো হলো। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) শাস্ত্রীয় আচার মেনে দশভূজার পূজা শেষে দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসব।
এরআগে, নেচে-গেয়ে বিজয়াদশমী উদযাপন করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজিপাড়ার বনিকপাড়ায় চন্দ্রচূড়া পূজা উদযাপন পরিষদের মণ্ডপেও দেখা গেছে এমন চিত্র। বিকেল থেকেই পূজা মণ্ডপে আসতে থাকে দর্শনার্থীরা। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় বিজয়াদশমীর আনন্দ উল্লাস। বাদ্যের তালে তালে মেতে উঠেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তাদের সাথে যোগ দেয় মুসলিম যুবকেরাও। ক্ষণ ঘনিয়ে রাত হতেই দেবীকে বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু হয়। রাতে শিমরাইলকান্দি দিয়ে তিতাস নদীতে দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর মোহাম্মদ শাহীন, চন্দ্রচূড়া পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সজীব বনিক, সাধারন সম্পাদক অভিজিৎ বনিক, সুজন ঘোষ, রাজিব বনিক বাসন, বাপ্পি তলাপাত্র, প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ বনিক, স্বরুপ বনিক ও সুমন বনিক প্রমুখ।
চন্দ্রচূড়া পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সজীব বনিক বলেন, রাতে দেবীকে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এক বছরের জন্যে বিদায় দেওয়া হলো। এরমধ্য দিয়ে এবার শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হয়েছে। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি শারদীয় দুর্গোৎসব আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করতে। সুন্দর পরিবেশে তা সফলও হয়েছে। এর জন্যে যারা আমাদের সহায়তা করেছেন, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।
পঞ্জিকামতে,সালে দেবী দুর্গা এবার মর্ত্যে আসেন ঘোটকে অর্থাৎ ঘোড়ায় চড়ে। ফিরেও গিয়েছেন ঘোড়ায় চড়ে। এর ফল ‘ছত্রভঙ্গ’। দুর্গার আগমন ও গমন অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বির্পযয়ের বার্তা দেয়।
বিজয়াদশমীর তিথির সকালে দশমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টা ৪২ মিনিটের মধ্যে বিজিত পূজা শেষ করে দর্পণ বিসর্জন সমাপ্ত করতে হয়েছে। ‘আশ্বিনে রাঁধে কার্তিকে খায়’ এর অংশ হিসেবে শাপলা, শালুক, কাঁচা হলুদ, বোরো চাল, চিড়াসহ নানা উপকরণে মাকে পূজা দেওয়া হয়। মহাদশমীতে দধি, মিষ্টি, চিড়া, কলা দিয়ে অসুরের ভোগ দেওয়া হয়।
সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, মহালয়ার দিন “কন্যারূপে” ধরায় আসেন দশভূজা দেবী দুর্গা; বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তাকে এক বছরের জন্য বিদায় জানানো হয়। তার এই “আগমন ও প্রস্থানের” মাঝে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে দুর্গোৎসব।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন