তিতাস বিধৌত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজনীতিতে রাজনীতিবিদের মুখোশে বহুজন বহুভাবে প্রতারণা করেছেন। কেউ আঁতাত করে, কেউ নিজেকে বিকিয়ে, কেউবা ছদ্মবেশে। সম্ভাবনা এবং জনগণের শক্তিকে অনুভব করেও যে যোজন-যোজন এগোনো যায়, সেটা ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে জনপ্রতিনিধি হিসেবে একক র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী-ই প্রতিষ্ঠা করেছেন। আর এসবই সম্ভব হয়েছে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর জনকল্যাণমুখী রাজনীতি ও নির্লোভ এগিয়ে যাবার সাহসে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আওয়ামী পরিবারের অভিভাবক হিসেবে অবিকল্প জনপ্রতিনিধি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সময়টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণ নিরাপদ। কারণ তিনি সম্ভাব্য আগ্রাসন, ষড়যন্ত্র, ছদ্মবেশী ব্যবসা আঁচ করতে পারেন। এজন্যই তিনি বারংবার সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিবর্গ, কূপমণ্ডূক ধর্মান্ধ, ধর্মব্যবসায়ী এবং ভূমিদস্যুদের চক্ষুশূল হয়েছেন। তারই উল্টোপিঠে এসকল অপশক্তির বিরুদ্ধে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী একাই সাহসিকতার সাথে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন এবং তাদের পরাস্ত করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিক্ষা-সংস্কৃতি-উন্নয়নের এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে লাগেনি তাঁর অবাধ বিচরণের ছোঁয়া। গণমানুষের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে গড়ে তুলেছেন নিরাপদ এক নগরীতে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কল্যাণমুখী এই রাজনীতিক বিগত নবম জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনে প্রথমবার বিজয়ী হন। পর পর তিনবার সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে দিনরাত কাজ করছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলায় তিনি কয়েক হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছেন।
এলাকার রাস্তাঘাট, সেতু-কালভার্ট নির্মাণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, স্কুল-কলেজের সম্প্রসারণ, নতুন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, নদী-খাল খনন, ওভারপাস নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে। দু’টি উপজেলায় নিশ্চিত করা হয়েছে শতভাগ বিদ্যুতায়ণ। বেড়েছে শিক্ষার হার, জনগণ পেয়েছে উন্নত জীবনের ছোঁয়া।
শহরের যানজট নিরসনে প্রায় ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছেন ফ্লাইওভার বা ওভারপাস। খালপাড়ে সেতু নির্মাণসহ শহরের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য নেওয়া হয়েছে নতুন নতুন পরিকল্পনা। প্রায় ৪০কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয়েছে ‘শেখ হাসিনা সড়ক’। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দি পর তিতাসের দুই পাড়ের মানুষকে এক সূতোয় গেঁথেছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত প্রায় দশ কিলোমিটার দৈর্ঘবিশিষ্ট ২৪ ফুট চওড়ার এই সড়কটি।
প্রত্যেক ফাগুনে দ্বিগুন শক্তিশালী হয়ে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষকে নেতৃত্ব দিয়ে যাবেন দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত
সিপাহসালার হয়ে।
তারই পাশাপাশি ধৈর্য এবং দায়িত্ববোধের সুফল উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীই এনে দিয়েছেন, দিচ্ছেন এবং আরও দিবেন। তাই আমাদের গল্লটা এখন এগিয়ে যাবার, ষড়যন্ত্রকে হটিয়ে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞাকে আলিঙ্গন করার।
লেখক:
সদস্য-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ।
সাধারণ সম্পাদক-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন