বিয়ে করতেও দিতে হবে কর!

বুধবার, ২৪ মে ২০২৩ | ১০:৪৯ অপরাহ্ণ |

বিয়ে করতেও দিতে হবে কর!
প্রতীকী ছবি
Spread the love

বিয়ে করলে বিয়ের ওপর কর আদায়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজস্ব আয় বাড়াতে এই পরিকল্পনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। তা বাস্তবায়নে আইন মন্ত্রণালয় ডিএসসিসি এলাকায় বিয়ের ওপর কর চালুর অনুমোদনও দিয়েছে। ফলে দক্ষিণ সিটির আওতাধীন এলাকায় কেউ বিয়ের পরিকল্পনা করলে তাকে এ কর দেওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে এটি কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ডিএসসিসির রাজস্ব বিভাগ সংশ্লিষ্টরা জানান, সিটি করপোরেশন আদর্শ কর তফসিল-২০১৬ অনুযায়ী- প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ বিয়ে করতে গেলে বিয়ের খরচের পাশাপাশি কর আরোপের বিধান রয়েছে। বিভিন্ন কারণে এতদিন তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। এখন রাজস্ব আদায় বাড়াতে বিয়ের ওপর কর নেওয়ার চিন্তা করছে ডিএসসিসি।

webnewsdesign.com

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিয়ের কর আদায়ের পরিকল্পনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএসসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক। ম

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসসিসির রাজস্ব বিভাগের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বলেন, ‘বিয়ে নিবন্ধনের বিষয়টি দেখভাল করে থাকে আইন মন্ত্রণালয়। ডিএসসিসি আইন অনুযায়ী- করের টাকা আদায়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল। এ চিঠি আইন মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। পরে এ বিষয়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।’

বিয়ের কর আইনে যা আছে
সিটি করপোরেশন আদর্শ কর তফসিল ২০১৬-তে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বিয়ের ওপর সুনির্দিষ্ট হারে কর আরোপের নিয়মের কথা বলা হয়েছে। এ তফসিলের ১৫২ ধারায় বলা হয়েছে, ‘প্রথম বিয়ে বা প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর আবারও বিয়ে করার জন্য বরকে ১০০ টাকা কর দিতে হবে। প্রথম স্ত্রীর জীবদ্দশায় দ্বিতীয় বিয়ের জন্য বরকে পাঁচ হাজার টাকা এবং প্রথম দুই স্ত্রীর জীবদ্দশায় তৃতীয় বিয়ের জন্য ২০ হাজার টাকা কর দিতে হবে।’

তফসিল অনুযায়ী, একই ধারায় চতুর্থ বিয়ের জন্য বরকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন হলে বা সন্তানহীন হলে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। সেক্ষেত্রে পরবর্তী বিয়ের জন্য বরকে ২০০ টাকা কর দিতে হবে।

তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় বিয়ের ওপর কর আদায়ের কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসেন।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com