ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিষ্ট্রিক পলিসি ফোরামের (ডিপিএফ) সদস্যরা প্রকল্প শেষ হলেও নিজেদের উদ্যোগে ও অংশ গ্রহণে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধসহ সকল সামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সকালে সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভা কক্ষে নিজেদের উদ্যোগে ও আয়োজনে অনুষ্ঠিত ডিপিএফ-এর মাসিক সভায় এই ঘোষণা দেন তারা।
সভায় পিফরডি প্রকল্পে দেড় বছরেরও অধিক সময় কাজ করে প্রত্যেকের দক্ষতা বৃদ্ধির কথাও স্বীকার করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ডিপিএফ’র সভাপতি মো. আরজু মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার উদ্বোধন করেন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পিফরডি প্রকল্পের জেলা ফ্যাসিলিটেটর মোছা. খোদেজা বেগম ও সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন।
এসময় ডিপিএফ’র সম্পাদক মো. শরীফ উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ডিপিএফএর সহ-সভাপতি এ সি তাপসি রায়, সদস্য ও সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আইয়ুব খান, মো. পারভেজ, এস এম শাহিন, মো. আশিকুর রহমান ভূঁঁইয়া, মোহাম্মদ মাহবুব খান, মো. আব্দুল কুদ্দুছ, মোছা. শিরিন আক্তার, নারায়ণ চক্রবর্তী, মেহেদী হাসান রজত, মোছা. মদিনা বেগম, পলি রাণী সরকার, সোমা আক্তার।
বক্তারা বলেন, এতদিন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের অংশিদারিত্বে ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় পিফরডি প্রকল্পের কাজ চলে আসছিল। এতে করে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় নানান সামাজিক প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও ডিপিএফ কাজ আমরা চালিয়ে যাব। পিফরডি প্রকল্পে কাজ করে গুরূত্বপূর্ণ কতগুলো প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা প্রত্যেকেই অনেক দক্ষতা অর্জন করেছি। এতে প্রকল্পের লক্ষ্যও অর্জিত হয়েছে। তবে আমাদের ডিপিএফ সংগঠন ছিল আছে এবং থাকবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে অর্থায়ন করে নিজ উদ্যোগে বাল্যবিয়ে ও মাদক প্রতিরোধসহ সকল প্রকার সামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে যাব। পিফরডি কর্তৃক নির্মিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই প্ল্যাপফর্ম (ডিপিএফ) অটুট ও অক্ষুন্ন থাকবে। সভায় উপস্থিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিপিএফ’র সকল সদস্য এই বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেন।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন