গ্রীষ্মে গাছে গাছে এখন পেকেছে জাম। বাজারেও চলে এসেছে পাকা জান। ছোটখাটো এই ফল পুষ্টিতে টইটম্বুর। জামে থাকে শর্করা, পানি, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম। জাম আরও কিছু প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানে পূর্ণ। এ ফলে প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন সি আছে।
জাম নিয়ে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ বলেন, জাম দারুণ উপকারী এক ফল। জাম কিনে প্রথমে কিছুটা সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। দেখবেন এটা থেকে নির্গত রং বেরিয়ে পানির রং বদলে যাবে। তাই জামে কোনো ক্ষতিকর উপকরণ (কার্বাইড বা রং) ব্যবহার করা হলে দূর হয়ে যাবে। তবে ঠিক কত সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখলে এসব ক্ষতিকর উপাদান বেরিয়ে যাবে সেটা বলা মুশকিল। আবার দীর্ঘ সময় জাম পানিতে ভিজিয়ে রাখলে কিছু পুষ্টি উপাদানও কমে যেতে পারে। তাই পানিতে ভেজাতে হবে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।
জাম সবাই খেতে পারেন। তবে খালি পেটে কেউ জাম খেলে কারও কারও অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। জাম নানান রোগ প্রতিরোধেও কার্যকর। জামে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম ও ভিটামিনগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
◾জামে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। এই সময় জ্বর, সর্দি ও কাশির প্রবণতা বাড়ে, জাম খেলে এই সমস্যা দূর হবে।
◾জামের ভিটামিন-এ চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে। সঙ্গে স্নায়ুগুলোকে কর্মক্ষম রেখে দৃষ্টিশক্তির প্রখরতা বাড়ায়।
◾জামে থাকা গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফ্রুকটোজ কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং শরীরেও শক্তি সঞ্চিত করে।
◾দাঁত, চুল ও ত্বক সুন্দর করতে খেতে পারেন জাম। এর উপাদানগুলো ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
◾জামের ক্যানসারের জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার ক্ষমতা আছে। বিশেষ করে, মুখের ক্যানসার প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত কার্যকর।
◾স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে জাম।
◾জাম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। রক্তে চিনির মাত্রা সহনীয় করে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে জাম।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন