আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের মধ্যে আমার এলাকা কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন।সেই ঘর এখনও আমি বানাচ্ছি। যারা গৃহহীন তাদের দিচ্ছি। উন্নয়নের চাকা ঘুরছে। এই চাকা ঘুরতে থাকবে। আপনারা আরো জেনে খুশি হবেন কসবা ও আখাউড়া উপজেলার ১৪৮৬ জন শিক্ষিত বেকার যুবককে আমি সরকারি চাকুরী দিয়েছি ও ৭০০ জনেরও বেশি লোককে নকল নবিশ বানিয়েছি। সব মিলিয়ে ২২০০ লোককে চাকুরী দিয়েছি। এটা সারা বাংলাদেশে আর কোথাও হয়নি। আপনারা খুঁজে দেখতে পারেন। এখন তো ইন্টারনেটের যুগ আপানারা সার্চ করলেই তা বের করতে পারবেন। আমি আপনাদের সন্তান হিসাবে বলি আমি যে উন্নয়ন শুরু করেছি সেই উন্নয়ন অব্যাহত রাখবো। আমি আপনাদের সন্তান আর সন্তান হয়েই থাকতে চাই।
মঙ্গলবার (২মে) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্ধ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে জনসংযোগ ও মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী ঠিক করলেন যারা বাংলাদেশে গৃহহীন তাদেরকে সকলকে ঘর দিবেন। এ রকম চিন্তা শুধু মা ই করতে পারে। কারণ তিনি দেশের মানুষকে সন্তানের মতো ভালোবাসেন। সেই পরিকল্পনা আজ বাস্তবায়িত হয়েছে। শুথু ঘরই না, ঘরসহ খাস জমিও দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের মানুষের টাকায় পদ্মা সেতু হয়েছে। তিনি বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে সারাবিশ্বে পরিচিত করেছেন। আপনারা জানের জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনাদেরকে ভালোবাসেন। তিনি আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন। এ বার্তা পৌঁছে দিতেই আমি আপনাদের কাছে এসেছি। কেন তিনি নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন? কারণ বাংলাদেশকে তিনি মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা দিয়েছেন। সেই পরিকল্পনা বলা আছে বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে একটা উন্নয়নের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসাবে সারাবিশ্বে পরিচিত করা। আমরা দরিদ্র থাককে চাই না। তা কায়েম করতে পারেন একমাত্র শেখ হাসিনা।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শিশু মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাহাবুবুল আলম চৌধুরী দীপক।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোরাদ হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মনির হোসেন বাবুল, সেলিম ভূঁইয়া, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক আতাউর রহমান নাজিম, আব্দুল মমিন বাবুল প্রমুখ।
সভা শেষে মন্ত্রী দুপুরের দিকে মনিয়ন্ধ ইউনিয়নের আরো কয়েকটি গ্রামে জনসংযোগ ও মতবিনিম সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্যে রাখেন।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন