নির্বাচন কমিশন পুনঃগঠনে বিভিন্ন দলের সাথে রাষ্ট্রপতির আলোচনাকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোট চুরির প্রক্রিয়ার অংশ বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক বানিজ্য মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বটতলী বাজারে এক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবিতে জেলা শহরের ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টারের সামনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি। কিন্তু একই স্থানে জেলা ছাত্রলীগ ছাত্রসমাবেশের ঘোষণা দেওয়ায় প্রশাসন পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। ফলে শহরতলীর বাইরে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট নাকি আলোচনা শুরু করেছেন। কিসের আলোচনা! যারা ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮তে ভোট চুরি করেছে, এই চক্র আগামী নির্বাচনে কিভাবে ভোট চুরি করতে পারে সেই আলোচনা শুরু করেছে। এই আলোচনা আগামী নির্বাচনে ভোট চুরির প্রক্রিয়ার অংশ। আর এই চোরদের সাথে যোগ দিয়েছে কিছু ছিচকে চোর৷

তিনি আরও বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আর কোন ধারা দিয়ে এখন কোন কাজ হবে না। ধারার সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যেভাবে ১৪৪ ধারা দিয়েছে, তেমনিই চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী ও নরসিংদী সহ আরও অনেক জায়গা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু লাভ হয়নি। জোয়ার যখন শুরু হয়, তখন এটাকে বাধ দিয়ে রক্ষা করা যায় না।

এসময় তিনি প্রশাসনকে কাউকে ক্ষমতা রাখার জন্য কাজ না করে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে দায়িত্ব পালন করার আহবান জানান।

জেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা (কচি) সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সাত্তার ভূইয়া এমপি, আবুল খায়ের ভূইয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহবুব শ্যামল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল হক সাঈদ, সাবেক এমপি এম এ খালেক, সাবেক এমপি সৈয়দ একরামুজ্জান ও নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামীম প্রমুখ।