মূলত বরফ কারখানা। বাইরে থেকে ও ভেতরে গিয়েও এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সংশ্লিষ্টদের চোখ ছানাবড়া। কারখানার ‘গোপন কক্ষে’ গিয়ে প্রথমে একটি ড্রামে দেখা যায় রং, যা আইসক্রিমে ব্যবহার করা হয় এবং সাধারণ কাজে ব্যবহারের রং। এরপর একে একে বেরিয়ে আসে আইসক্রিম তৈরির নানা পণ্য এবং বানানো পাঁচ হাজার আইসক্রিম।
ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর এলাকার মসজিদ পাড়ার। রবিবার রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অনুমোদনহীন এ আইসক্রিম কারখানার মালিক নরসিংদী রায়পুরার নবী হোসেনকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। নষ্ট করে দেওয়া হয় আইসক্রিম তৈরির বিভিন্ন সামগ্রী।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী অভিযানে নেতৃত্ব দেন। তিনি জানান, বরফ কারখানাটির ভেতরে গিয়ে সন্দেহজনকভাকে ড্রাম খুলে দেখা যায় এতে রং ভর্তি। এসব রং একেবারে সাধারন মানের এবং খাদ্য হিসেবে খুবই ক্ষতিকর। এ সময় উদ্ধার করা আইসক্রিম ও উপকরণ নষ্ট করে ফেলা হয়। জব্দও করা হয় কিছু উপকরণ।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ কারখানার বরফ মাছ সংরক্ষণে কাজে লাগে। মাছ সংরক্ষণে যেন সমস্যা না হয় বরফ কারখানাটি সিলগালা করা হয়নি।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন