আপডেট

x

সাবেক মন্ত্রী ছায়েদুল হকের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ | ৭:২২ অপরাহ্ণ |

সাবেক মন্ত্রী ছায়েদুল হকের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত
Spread the love

প্রয়াত মৎস ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হকের ১ম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের পূর্বভাগ গ্রামে কোরআন খতম ও কাঙ্গালী ভোজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামীলীগ দলীয় নেতাকর্মীসহ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার ৮/১০ হাজার লোকের সমাগম হয়। সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে খাওয়া দাওয়া। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামও উপস্থিত ছিলেন। যদিও প্রয়াত ছায়েদুল হকের স্ত্রী দিলশাদ আরা মিনু নিজের মনোনয়ন নিয়ে সংগ্রামের সাথে মানষিক দুরত্ব রয়েছে।

২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর সকালে চারদিকে যখন বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা চলছিল, এ সময় খবর আসে মুক্তিযোদ্ধা ছায়েদুল হক আর নেই। ৭৫ বছর বয়সে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যবার্ষিকীতে উপস্থিত হয়ে মুক্তিযুদ্ব মন্ত্রনালয়ের সাবেক সচিব মিজানুর রহমান বলেন, তিনি সাধারন মানুষের নেতা ছিলেন বলেই তার মৃত্যুবার্ষিকীতে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। গত এক বছরেও মানুষ ভুলতে পারেনি তাদের প্রিয় নেতাকে। তিনি বলেন শুধু নাসিরনগরই নয়, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নানা শ্রেণীপেশার মানুষ ছুটে যান পূর্বভাগ গ্রামে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সফিকুল আলম এমএসসি, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দিন সহ জেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতির কমতি ছিল না।
ছায়েদুল হকের জন্ম ১৯৪২ সালের ৪ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলাধীন পূর্বভাগ গ্রামে। তার মায়ের নাম মেহের চান্দ বিবি ও বাবার নাম মোহাম্মদ সুন্দর আলী।
১৯৬৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন ছায়েদুল হক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি নেওয়ার পর এলএলবি পাস করে আইন পেশায় নিজেকে যুক্ত করেছিলেন তিনি।
১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা আন্দোলনে সক্রিয় হওয়ার পর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। ভারতের ত্রিপুরার লেম্বুছড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ছায়েদুল হক।
১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ছায়েদুল হক। এরপর দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৪ সালে মৎস্য ও প্রানী সম্পদমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ছায়েদুল হক।

webnewsdesign.com

নাসিরনগরের প্রিয় নেতা ছায়েদুল হক চলে গেলেও তাকে আজও ভুলতে পারেননি তারা। তার শূন্যস্থান সহজে পূরণ হবার নয়।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com