আপডেট

x

 মেয়ে হত্যার বিচার পেতে এক পিতার আকুতি (ভিডিও সহ)

বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০১৯ | ৩:১৯ অপরাহ্ণ |

Spread the love

মেয়ে হত্যার বিচার ও নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে বুকে ফেস্টুন জড়িয়ে একাই দাঁড়িয়ে আছেন বাবা মফিজুল হক। আজ বুধবার দুপুর ১২টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু করেছেন তিনি।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল জেলার আশুগঞ্জের চর চারতলা গ্রামে শ্বশুরবাড়ির পরিত্যক্ত পানির ট্যাংক থেকে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে কামরুন নাহার তূর্ণার (২৮) হাত-মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার আরো একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে স্বামী আরিফুল হক রনি পলাতক ছিলেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

webnewsdesign.com

২০১২ সালে রনির সঙ্গে তূর্ণার বিয়ে হয়। সম্পত্তির লোভে কিছুটা কৌশল আর কিছুটা জোর করে তূর্ণাকে বিয়ে করেন মফিজুল হকের আপন ছোট ভাইয়ের ছেলে রনি। তূর্ণার বাবার বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ি পাশাপাশি। ‘খান বাহাদুর সরকার বাড়ি’ নামে পরিচিত ওই বাড়ির মেয়ে তূর্ণা ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পাস করে আশুগঞ্জের আর জে প্রভাতী কিন্ডারগার্টেন নামে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তূর্ণার স্বামী রনি এসএসসির গণ্ডিও পেরোতে পারেননি। সম্পর্কে তূর্ণা ও রনি চাচাতো ভাই-বোন। তূর্ণা তার বাবার একমাত্র সন্তান। বাবার বিপুল সম্পত্তির ৭৫ ভাগ তূর্ণার নামে দান করা এবং এই সম্পত্তিই কাল হয়ে দাঁড়ায় তার জন্য। বিভিন্ন সময় এই সম্পত্তির জন্য রনি তাকে চাপ দিতেন।

তূর্ণার বাবা মফিজুল হক বলেন, ঘটনার দিন সকালে রনি এসে বলে, তূর্ণাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এই বলে রনি আশুগঞ্জ বাজারে তার ধানের চাতালে চলে যায়। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তূর্ণার খোঁজ পাচ্ছিলেন না। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাড়ির পরিত্যক্ত পানির ট্যাংকের ভেতরে হাত বাঁধা, মুখে পলিথিন মোড়ানো ও গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় তূর্ণার লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় আমি আশুগঞ্জ থানায় রনিকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করি। পরে পুলিশ রনিকে গ্রেপ্তার করে। কারাবাসের পর রনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

মফিজুল হক বলেন, জামিনে মুক্তির পর আবারো রনি পলাতক রয়েছে। পলাতক থাকার পরেও বিভিন্ন ভাবে হুমকি দামকি দিয়ে চলেছে তার পক্ষের লোকজনেরা।এমনকি তূর্ণার নামে একটি সেবা ও শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান বানাতে তারা বাধা দিচ্ছে । এতে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। আমি এখন প্রতরণার ফাঁদে পড়েছি। আসামী পক্ষের লোকজনেরা প্রচার করছে আমি তাদের সাথে আপোষ মিমাংসা করেছি। তারা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে, তাদের সাথে কোন আপোষ নয়। আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই আমি।

 

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com