ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘তিতাসের তারুণ্য’ নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার জেলা শহরের সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামে একটি সামাজিক সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
‘তিতাসের তারুণ্য’ নামে অনুষ্ঠান সকাল নয়টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে চলে দুপুর সোয়া একটা পর্যন্ত।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবু সালেহ মো. নঈমুদ্দিন, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম, সহকারি পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) আবু সাঈদ, প্রথম আলোর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি শাহাদৎ হোসেন। অনুষ্ঠানে জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এই শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সামাজিক বিভিন্ন বিষয় ও জীবনমুখী বক্তব্য দেওয়ার জন্য বিশেষ আকর্ষণীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন টেন মিনিটস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আইমান সাদিক, ওয়েডিং ডায়েরীর প্রতিষ্ঠাতা প্রীত রেজা ও সোস্যাল মিডিয়ার অ্যাক্টিভিস্ট সোলায়মান সুখন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামে সামাজিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বিবর্ধন রায়। এই অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করেন নিউ অটোল্যান্ড, ইনফ্লিক্স আইটি ও জেলা শহরের ফ্রিগো ক্যাফে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ নামে সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের ঐতিহ্য নিয়ে তৈরি একটি প্রমাণ্যচিত্র ও তরুনদের উদ্দেশ্যে তৈরি অন্য আরেকটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শণ করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষার্থীর নিজেদের স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন।

সকাল ১১টায় মঞ্চে উঠেন টেন মিনিটস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আইমান সাদিক। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আইমান সাদিক বলেন, প্রতিদিন যা কিছু শিখ তা লিখে রাখবে। বছর শেষে ৩৬৫ অনেক তথ্য জমবে। জমানো এসব তথ্য দিয়ে একটি বই লেখা সম্ভব। মানুষের সমস্যা হলো মানুষ শুরুটা করতে পারে না।

ওয়েডিং ডায়েরী প্রতিষ্ঠাতা প্রীত রেজা বলেন, সকল না কে না বলতে হবে। নিজেকে তৈরি করতে হবে। বড় স্বপ্ন দেখতে হবে।

সোলায়মান সুখন বলেন, জীবনে দরকার ধৈর্য্য। ধৈর্যশীল হতে হবে। কারণ একজন মানুষের কাছ থেকে সহমর্মিতা ও সম্মান পাওয়া একটা অর্জন। পুরো জীবনে সম্মান পাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করতে হবে। সম্মান করলে সম্মান পাবে।

শুক্রবার দুপুর একটার দিকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন জেলার দর্শনীয় স্থান নিয়ে তৈরি অগমেন্টেড রিয়ালিটি (এআর) অ্যাপস উদ্ধোধন করা হয়েছে। পর্যটনভিত্তিক দর্শণীয় স্থান নিয়ে তৈরি এই ধরনের অ্যাপস দেশে এই প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে।

আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিষ্ঠাতা বিবর্ধন রায় বলেন, জেলার পর্যটন ভিত্তিক দর্শনীয় স্থান নিয়ে অগমেন্টেড রিয়ালিটি ভিত্তিক একটি অ্যাপস উদ্ধোধন করেছি। আপাতত আমরা জেলার নিয়াজ মুহাম্মদ ফারুকী পার্কে অবস্থিত স্মৃতিসৌধ, জেলা শহরের মেড্ডা এলাকার দীর্ঘতম প্রতিমা কালভৈরব মন্দির, সরাইল আরিফাইল মসজিদ, মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ হওয়া কসবার উপজেলার গণকবর ‘কুল্লা পাথর’ ও আখাউড়া উপজেলার শায়িত বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের সামধির স্থানগুলো সংযুক্ত করা হয়েছে। এই অ্যাপসের মাধ্যমে এই দর্শণীয় স্থানের সকল তথ্য এবং পুরো জায়গা অনলাইনের মাধ্যমে বিচরণ করা যাবে। পর্যায়ক্রমে জেলার সকল উল্লেখযোগ্য জায়গা এই অ্যাপসে যুক্ত করা হবে।