একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে ৩০ ডিসেম্বর। এখানে ধানের শীষ, নৌকা ও মশাল প্রতীকের মধ্যে লড়াই হবে। এটি মহাজোটের উন্মুক্ত আসন।
এই আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের উপদেষ্টা এবাদুল করিম বুলবুল, ধানের শীষের প্রার্থী প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আনোয়ার হোসেনের ছেলে কাজী নাজমুল হোসেন তাপস এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) হয়ে মশাল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন সাবেক সংসদ সদস্য শাহ জিকরুল আহমেদ খোকন।
দলীয় ও ব্যক্তি ইমেজের ভোট ব্যাংক নিয়ে লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন মহাজোটের একাধিক প্রার্থী, আর ঐক্যফ্রন্টের একক প্রার্থী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে মহাজোটের অন্যতম শরীক দল জাতীয় পার্টির কাজী মামুনূর রশিদ, ইসলামী ঐক্যজোটের মেহেদী হাসান, জাকের পার্টির রশিদ উল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ওসমান গণি রাসেল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির শাহীন খান, বিকল্পধারার তানভীর মনিরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ মুসলীম লীগের এ কে এম আশরাফুল আলম নির্বাচনে লড়াই করছেন।
এই আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ফায়জুর রহমান বাদল মনোনয়ন পাননি। সেই ক্ষোভ থেকে দীর্ঘ সময় পর আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবাদুল করিম বুলবুলকে সমর্থন দেন ২৫ ডিসেম্বর থেকে।
অপরদিকে, বিএনপি হারানো আসন ফিরে পেতে প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আনোয়ার হোসেনের ছেলে কাজী নাজমুল হোসেন তাপসকে ধানের শীষ প্রতীক দেয়।
এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী থেকে অনেক নবীন বিএনপির প্রার্থী। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করে চলেছেন তিনি।
তবে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের হয়রানি করছে।
নবীনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মঞ্জু বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়নে আমাদের নেতাকমীদের আটক করে মোবাইল কোর্টে সাজা দেওয়া হচ্ছে। আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে, তবুও নির্বাচনী মাঠে রয়েছি। ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর জনগণ যাতে ভোট দিতে পারেন সেজন্য আমাদের নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবে।
বিএনপি ও আওয়ামী লীগ বাদে এই আসনে ভাল অবস্থানে রয়েছেন মশাল প্রতীকের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শাহ জিকরুল আহমেদ খোকন।
এলাকায় সৎ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত জিকরুল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোট থেকে নৌকা প্রতীকে জয়লাভ করেন তিনি। এমপি থাকাকালীন এলাকায় ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। এই আসনে মহাজোট থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন, তবে মনোনয়ন জোটেনি। শেষ পর্যন্ত জাসদের মশাল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন তিনি।
স্থানীয় ভোটারদের মতামত অনুযায়ী, এই তিন প্রার্থীর নাম সামনে আসছে। এ জন্য ত্রিমুখী লড়াইয়ে কে টিকে থাকবে সেই নিয়ে বিশ্লেষণ সচেতন ভোটারদের।
এদিকে, মহাজোটের উন্মুক্ত আসনে একই জোটের একাধিক প্রার্থীর ভিড়ে ৩০ ডিসেম্বর কার মুখে বিজয়ের হাসি ফুটবে তা এখন অপেক্ষার বিষয়।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন