আপডেট

x

নবীনগরে গুঞ্জন পাঠাগারে পিঠা উৎসব

শনিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০১৮ | ১২:২৬ অপরাহ্ণ |

নবীনগরে গুঞ্জন পাঠাগারে পিঠা উৎসব
Spread the love

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সুহাতা গ্রামে গুঞ্জন পাঠাগারের উদ্যােগ প্রতিবছর ন্যায় এবারও বাহারি রকমের দেশীয় পিঠা নিয়ে জমকালো পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় গুঞ্জন পাঠাগারের প্রাঙ্গনে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।

ব্যতিক্রমী পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন নবীনগর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু মোছা। বিপুল সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে ওই পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন নবীনগর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন মাঈনু।

webnewsdesign.com

পাঠাগারের ভূমিদাতা রাজিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান আলোচক ছিলেন স্থানীয় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক ও কালের কণ্ঠের নবীনগর প্রতিনিধি গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু। স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠক ও শিক্ষক পার্থ চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও ‘ছন্দের যাদুকর’ খ্যাত ছড়াকার হাবিবুর রহমান স্বপন।

১২৪ প্রকারের শত শত পিঠা নিয়ে আশপাশের প্রচুর সংখ্যক শিক্ষার্থী ও নারী অভিভাবকেরা এ জমকালো পিঠা উৎসবে যোগ দিতে দেখা যায়।

এর আগে প্রধান অতিথি মেয়র মাঈন উদ্দিন মাঈনু আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে ‘এসো বই পড়ি, আলোকিত জীবন গড়ি’ শ্লোগান দিয়ে ২০০৪ সালে স্থাপিত বহুল আলোচিত গুঞ্জন পাঠাগারের দ্বিতল ভবনের আনুষ্ঠানিক ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

পরে পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে চলতি বছর মাস্টার্স (বাংলা) শেষ করা হাবিবুর রহমান স্বপন পাঠাগারের জন্মকাহিনী বর্ণনা করে বলেন, প্রতিকূল সেই পরিবেশ থেকে আমি খেয়ে না খেয়ে প্রতিনিয়ত নিজেও একজন ‘বই মজুর’ হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এলাকার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বই পড়ার ক্ষেত্র তৈরী করতে ১৫ বছর আগে ছোট্ট একটি ঘরে এই গুঞ্জন পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করি। বিগত কয়েক বছর ধরে গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করে যাচ্ছি।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com